পাওয়ারের সঙ্গে রফা করেই মুম্বইতে লড়বে কংগ্রেস

ইউপিএ জোটের দ্বিতীয় বৃহত্তম শরিক তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে নানা ইস্যুতে টানাপোড়েন ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারকে চটানোর ঝুঁকি নিল না কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।

Updated By: Jan 11, 2012, 07:20 PM IST

ইউপিএ জোটের দ্বিতীয় বৃহত্তম শরিক তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে নানা ইস্যুতে টানাপোড়েন ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারকে চটানোর ঝুঁকি নিল না কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। কার্যত মারাঠা স্ট্রং ম্যান-এর শর্ত মেনে নিয়েই মুম্বই পুরসভা নির্বাচনে আসন সমঝোতা করল সোনিয়া গন্ধির দল। নয়া রফাসূত্র অনুযায়ী আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য মুম্বই পুরসভার ২২৭টি কেন্দ্রের নির্বাচনে কংগ্রেস এবং এনসিপি যথাক্রমে ১৬৯ এবং ৫৮টি আসনে প্রার্থী দেবে।
২০০৭ সালের মুম্বই পুরসভা ভোটে আলাদা ভাবে লড়ে কংগ্রেস এবং এনসিপি পায় যথাক্রমে ৭১ এবং ১৪টি আসন। ভোট ভাগাভাগির কারণে দেশের বাণিজ্যনগরীর কর্তৃত্ব শিবসেনা-বিজেপি জোটের হাতেই থেকে যায়। এবার সমঝোতার লক্ষ্যে ডিসেম্বরের গোড়া থেকেই দফায় দফায় আলোচনা শুরু করে দুই দল। কিন্তু গোল বাধে আসন ভাগাভাগি নিয়ে।

প্রাথমিক ভাবে মুম্বই পুরসভায় এনসিপি`কে ৩৫টির বেশি কেন্দ্র ছাড়তে চায়নি কংগ্রেস। পাওয়ারের দলের দাবি ছিল ৬৫টি। শেষ পর্যন্ত মুম্বই কংগ্রেস সভাপতি কৃপাশঙ্কর সিং এবং মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মাণিকরাও ঠাকরে এনসিপি নেতৃত্বকে জানিয়ে দেন, ৪৫টি`র বেশি আসন ছাড়া সম্ভব নয়। জবাবে মুম্বই এনসিপি সভাপতি নরেন্দ্র ভার্মা জানান ৬০টি`র কম আসন ছাড়া হলে একাই লড়বেন তাঁরা।
এই পরিস্থিতিতে ২৪ অশোক রোডের নির্দেশে পরিস্থিতি সামলাতে আসরে নামেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পৃত্থীরাজ চহ্বান। শরদ পাওয়ারের অতি ঘনিষ্ঠ এনসিপি মন্ত্রী ছগন ভুজবল, জয়ন্ত পাতিল এবং মহারাষ্ট্র এনসিপি`র সভাপতি মধুকর পিচাড়ের সঙ্গে বৈঠক করে আসন ভাগাভাগির ফর্মুলা তৈরি করেন তিনি। কংগ্রেস-এনসিপি`র এই আসন সমঝোতা বিগত ১৭ বছর ধরে মুম্বই পুরসভায় ক্ষমতাসীন শিবসেনা-বিজেপি জোটকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দেবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

.