Kirti Azad: বিজেপি, কংগ্রেস ঘুরে এবার তৃণমূলে যোগ দিলেন কীর্তি আজাদ
`যাঁরা দেশকে ভাঙতে চাইছে দিদির নেতৃত্বে তাঁদের রুখব`, হুঁশিয়ারি প্রাক্তন বিজেপি সাংসদের
নিজস্ব প্রতিবেদন: তৃণমূলে (TMC) যোগ দিলেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ তথা কংগ্রেস নেতা (Congress Leader) কীর্তি আজাদ (Kirti Azad)। নয়াদিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তিনি তৃণমূলে যোগ দিলেন। এই যোগাদানের আগে Zee ২৪ ঘণ্টাকে কীর্তি আজাদ (Kirti Azad) বলেন, "মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় লড়াকু নেত্রী। দল যা দেবে তা পালন করব।"
যোগদানের পরে কীর্তি আজাদ (Kirti Azad) বলেন, "রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়া পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বে কাজ করব। দেশের আজ ওঁর মতো নেতার প্রয়োজন। আমার কোনও জাতি নেই, কোনও ধর্ম নেই। রাজনীতি করলে দিদির মতাদর্শেই করব। যাঁরা দেশকে ভাঙতে চাইছে তাঁদের রুখতে, কাজ করব। আমি ধন্য, দিদি আজ আমাকে তৃণমূলের সদস্য করলেন।"
কংগ্রেস নেতা কীর্তি আজাদের (Kirti Azad) তৃণমূলে যোগদান রাজনৈতিক ভাবে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ২০২৪-এর লোকসভার লড়াইয়ে মোদীর (PM Narendra Modi) বিরোধী প্রধান মুখ হিসেবে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে (Mamata Banerjee) তুলে ধরতে মরিয়া তৃণমূল (TMC)। সেজন্য বারবার কংগ্রেসকে আক্রমণ করছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। কংগ্রেসের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠাচ্ছে। সেক্ষেত্রে প্রথমে সুস্মিতা দেব এবং এরপর কীর্তি আজাদকে ঘাসফুল শিবিরে যোগদান করানো বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
Koo App
Cricketer-turned-politician, Shri @KirtiAzaad joined our Trinamool Congress family today, in the presence of our Chairperson Mamata Banerjee and our National General Secretary @abhishekaitc. We welcome him warmly and look forward to working together in this new journey!
- All India Trinamool Congress (@AITCOfficial) 23 Nov 2021
পারিবারিক সূত্রেই রাজনীতির সঙ্গে কীর্তি আজাদের (Kirti Azad) যোগাযোগ। তাঁর বাবা ছিলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ১৯৮৩-র বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের সদস্য ছিলেন কীর্তি আজাদ (Kirti Azad)। বিহারের দ্বারভাঙা থেকে দু’বার সাংসদ নির্বাচিত হন কীর্তি। বিজেপির সাংসদ ছিলেন তিনি। পরে বিজেপি নেতা এবং প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির বিরুদ্ধে দিল্লি ক্রিকেট বোর্ড এবং জেলা ক্রিকেটে দুর্নীতির অভিযোগ কেন তিনি। এরপর দল থেকে বহিষ্কৃত হন। ২০১৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর তাঁকে বিজেপি থেকে সাসপেন্ড করা হয়। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের টিকিটে ধানবাদ লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হন কীর্তিও। যদিও হেরে যান।
আরও পড়ুন: Javed Akhtar: জুলাইয়ের পর মমতার সঙ্গে ফের সাক্ষাত্ জাভেদ আখতারের
আরও পড়ুন: Mahua Liquor: সুরা তালিকায় আর অবৈধ নয় মহুয়া! 'হেরিটেজ' তকমা দিল রাজ্য