Coromandel Express Accident: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা, বিমার টাকা পেতে শর্ত সহজ করল এলআইসি
Coromandel Express Accident: প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য। রেলের কাছে প্রাথমিকভাবে যে তথ্য় জমা পড়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে শালিমার থেকে আসা করমণ্ডল এক্সপ্রেসের জন্য যে সিগন্য়াল ছিল তা ছিল একেবারে সোজা। অর্থাত্ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সোজা যাওয়ার কথা। সেইভাবেই লাইন সেট থাকার কথা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে লাইনের পয়েন্ট সেট করা ছিল পাশের লাইনের দিকে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: করমণ্ডল এক্সপ্রেসেরর দুর্ঘটনায় বিমার টাকা পাওয়ার পদ্ধতি সহজ করছে জীবন বিমা কর্পোরেশন। শনিবার এমনটাই জানিয়েছেন এলআইসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মোহান্তি। এনিয়ে বেশকিছু নির্দেশিকা দিয়েছে এলআইসি। বলা হয়েছে রেল, রাজ্য ও কেন্দ্রের দেওয়া মৃত্যুর নথিকে ডেথ সার্টিফিকেট হিসেবে গন্য করা হবে। ফলে বিমার টাকা পেতে সুবিধে হবে।
আরও পড়ুন-হিউম্যান এরর! করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ভয়ংকর দুর্ঘটনার তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
বিমার টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য় জানার ক্ষেত্রে হেলফ ডেস্ক খুলেছে এলআইসি। দেওয়া হয়েছে একটি টোল ফ্রি নম্বর। সেটি হল ০২২-৬৮২৭৬৮২৭। ওই নম্বরে ফোন করে বিমার ক্লেইম সংক্রান্ত সব বিষয় জানা যাবে। কেন্দ্রীয় বিমা সংস্থার সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, বিমাকারী বা তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে।
দুর্ঘটনায় মৃতদের পারিবার বর্গের প্রতি সমবেবনা জানিয়েছেন এলআইসি চেয়ারম্যান। এক বিববৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, শুক্রবার বালাসোরের ওই দুর্ঘটনায় আমার শোকস্তব্ধ। ক্ষতিগ্রস্থ সবাইকে সাহায্য করতে তৈরি এলআইসি। বিমাকারীদের ক্লেইম দ্রুত পাইয়ে দিতে ব্যবস্থা নিচ্ছে এলআইসি।
উল্লেখ্য, শনিবার দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আহতদের সঙ্গেও তিনি কথা বলেন। পাশাপাশি, তিনি জানিয়ে দেন, "সরকারের জন্য এটা গুরুতর বিষয়। আমরা সবরকমভাবে তদন্ত করব। যেই দোষী হবে, সেই কঠোর শাস্তি পাবে। রেল নিজের সব শক্তি নিয়োজিত করেছে উদ্ধারকার্যে। আহতদের চিকিৎসাতেও কোনও ত্রুটি হবে না।" । শনিবারই ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ঘটনাস্থলে তিনি দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, অ্যান্টি কলিসন ডিভাইস ছিল না। তা থাকলে এই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।
প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য। রেলের কাছে প্রাথমিকভাবে যে তথ্য় জমা পড়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে শালিমার থেকে আসা করমণ্ডল এক্সপ্রেসের জন্য যে সিগন্য়াল ছিল তা ছিল একেবারে সোজা। অর্থাত্ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সোজা যাওয়ার কথা। সেইভাবেই লাইন সেট থাকার কথা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে লাইনের পয়েন্ট সেট করা ছিল পাশের লাইনের দিকে। অর্থাত্ সিগন্যাল ছিল সোজ আর পয়েন্ট সেট ছিল পাশের লাইনের দিকে। এগিয়ে গ্রিন সিগন্যাল দেখে করমণ্ডল তার গতিতে সোজাই যাচ্ছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত লাইনের পয়েন্ট পাশের দিকে করা থাকায় সে বাঁদিকের মালগাড়ির লাইনে ঢুকে পড়ে। প্রবল গতিবেগে করমণ্ডল এক্সপ্রেস সোজা গিয়ে ধাক্কা মারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালগাড়িতে। সঙ্গে সঙ্গেই করমণ্ডলের কয়েকটি কামরা মালগাড়ির উপরে উঠে যায়। তাতেই এমন ভয়ংকর ঘটনা।
সিগন্যাল এক আর লাইনের পয়েন্ট সেটিং অন্য এই দুয়ের ফাঁদে পড়ে প্রাণ গেল ওই ২৬১ জনের। এমনই কারণ আপাতত উঠে আসছে। মালগাড়িকে ধাক্কা মারার ফলেই করমণ্ডলের বগিগুলি লন্ডভন্ড হয়ে যায়। ছড়ি ছিটিয়ে পড়ে লাইনের উপরে। অর্থাত্ যা হয়েছে তা হিউম্যান এরর। মানুষের ভুলেই এমন ঘটনা। দুর্ঘটনার পরই এই প্রশ্নটা উঠছিল করমণ্ডল মালগাড়ির লাইে ঢুকলো কী করে? কেবিন থেকে পয়েন্ট সেটিং করার ক্ষেত্রেই এমন কাণ্ড। ট্রেনটি ব্রেক কষারও সময় পায়নি। ইঞ্জিন সহ ট্রেনের দুটি কামরা মালগাড়ির উপরে উঠে যায়।
ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থ ঘুরে গিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তিনি। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, ‘প্রথম গুরুত্বপূর্ণ কাজ আহতদের চিকিৎসা করা’। বিরোধীদের আক্রমণের প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি অনুরধ করব প্রথমেই আগে আহতদের চিকিৎসা করা হোক’। তিনি আরও বলেন, ‘দ্রুত রিস্টোরেশনের কাজ শুরু হবে। ইতিমধ্যেই যত মেশিন রয়েছে সেইগুলি কাজ শুরু করেছে। এনকোয়ারির জানা যাবে কী হয়েছিল’।