সামনে ভয়ঙ্কর দিন! করোনার সংক্রমণ সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছবে ২-৩ মাসে, সতর্কতা এইমস প্রধানের
এমনই আশঙ্কার কথা বলেছিলেন বেঙ্গালুরুর নিমহ্যান্স হাসপাতালের প্রধানও
নিজস্ব প্রতিবেদন: এখনও পর্যন্ত দেশে করোনা প্রাণ কেড়েছে ৬,৯২৯ জনের। আক্রান্ত ২,৪৬,৬২৭ জন। দেশজুড়ে আক্রান্ত হচ্ছেন কোনও দিন আট হাজার প্লাস তো কোনও দিন নয় হাজার প্লাস। তবে এখনও নাকি দেশে করোনা সংক্রমণ নাকি শীর্ষে পৌঁছায়নি। আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে তা সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে যাবে। এমনটাই আশঙ্কা করছেন দিল্লি এইমসের প্রধাণ রণদীপ গুলেরিয়ায়। এমনই আশঙ্কার কথা বলেছিলেন বেঙ্গালুরুর নিমহ্যান্স হাসপাতালের প্রধানও।
আরও পড়ুন-মাত্র ছয় মাসের ব্যবধান, ভেঙে পড়ল বর্ধমান স্টেশনের ফলস সিলিং
এইমস প্রধান সম্প্রতি এক বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, দেশের অধিকাংশ রেড জোনের অবস্থা খারাপই বলা যায়। গোটা দেশের কথা ধরলে গোষ্ঠী সংক্রমণের কোনও ইঙ্গিত এখনও পাওয়া যাচ্ছে না। আইসিএমআর এর রিপোর্ট সামনের সপ্তাহে বের হবে। এর মধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ফলে দেশে করোনা সংক্রমণ আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে শীর্ষে পৌঁছাতে পারে।
ওই সাক্ষাতকারে গুলেরিয়া আরও বলেন, করোনা রুখতে গেলে শুধুমাত্র টেস্ট করলেই হবে না। সোশ্যাল ডিসট্যানসিংও বজায় রাখাতে হবে। কোনও কোভিড রোগীর একেবারে কাছে যিনি রয়েছেন তার টেস্ট প্রথমে করতে হবে। সরাকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে এটি একটি মহামারী।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বেঙ্গালুরুরুর বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরো সায়েন্সের(নিমহ্যান্স) প্রধান ডা ভি রবি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে জানান, দেশে করোনার দাপট এখনও দেখা যায়নি। করোনার সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়তে শুরু করবে জুন থেকে। তার পর গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হবে।
আরও পড়ুন-পরিত্যক্ত মার্কেটে কোয়ারেন্টিন সেন্টার, করোনাকে এড়িয়ে ফিরেও সাপের কামড়ে মৃত্যু পরিযায়ী শ্রমিকের
ডা ভি রবির দাবি, এ বছর ডিসেম্বরের শেষে দেশের অর্ধেক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়বেন। এদের ৯০ শতাংশ জানতেই পারবেন না যে তিনি করোনায় আক্রান্ত। এদের মধ্যে হয়তো ৫-১০ শতাংশ মানুষের অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়বে। মাত্র ৫ শতাংশের ভেন্টিলেটরের দরকার হবে।