দেশের জিডিপির ভোল পাল্টে দেবে করোনাভাইরাস, শঙ্কিত খোদ RBI

লকডাউন। সিংহভাগ পরিবহণ, বাণিজ্য, কাজ বন্ধ। করোনাভাইরাস এড়াতে অন্য কোনও উপায়ও নেই। তবে, এর মারাত্মক প্রভাব যে অর্থনীতিতে পড়ছে, সেটা বলাই যায়। 

Updated By: Apr 9, 2020, 03:09 PM IST
দেশের জিডিপির ভোল পাল্টে দেবে করোনাভাইরাস, শঙ্কিত খোদ RBI

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারত তথা বিশ্বজুড়ে আর্থিক বৃদ্ধির হার নিয়ে গত ত্রৈমাসিকে বিশেষ আশাবাদী ছিলেন না অর্থনীতির বিশেষজ্ঞরা। এরপর করোনাভাইরাসের আগমন মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত কোয়ার্টারের পর যে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা ভারতের অর্থনীতি দেখছিল সেই আশার আলো এখন বেশ ফিকে। এ কথা বলছে খোদ রিজার্ভ ব্যাঙ্কেরই আর্থিক নীতির রিপোর্ট। অর্থাত্ প্রথম বিশ্বের দেশ থেকে ভারত-সহ দক্ষিণ এশিয় দেশগুলির আর্থিক ব্যবস্থায় করোনার প্রভাব যে বেশ দীর্ঘস্থায়ী হতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য।

"করোনাভাইরাস এভাবে ছড়িয়ে পড়ার আগে পর্যন্ত ২০২০-২১ আর্থিক বছরের বৃদ্ধির হার ঘুরে দাঁড়াবে বলেই অনুমান করা হচ্ছিল", মত কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের। তবে, সেই অনুমান এখন আর প্রাসঙ্গিক নেই। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট বলছে, "করোনাভাইরাস বিশ্বমারী সমস্ত ভবিষ্যদ্বাণীই উল্টে-পাল্টে দিয়েছে।" শুধু ভারতেরই যে এমন পরিস্থিতি, সেটা ভাবলে হয় তো ভুল হবে। কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের হিসাব বলছে, ২০২০ সালেই বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। 

How does coronavirus affect the economy? | World Economic Forum

ভারতের ক্ষেত্রে সেটা অবশ্য আরও উদ্বেগের কারণ। কেন? ২০১৯-এর শেষ ৩ মাস ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার গত ৬ বছরে সবচেয়ে কম ছিল। তাই চলতি বছরে মনে করা হচ্ছিল সারা বছরে বড়জোড় ৫ শতাংশ বৃদ্ধির হার হতে পারে। যা কিনা গত এক দশকে সর্বনিম্ন। তবে, এবার সে বিষয়টাও অনিশ্চিত হয়ে পড়ল করোনাভাইরাসের প্রভাবে।

লকডাউন। সিংহভাগ পরিবহণ, বাণিজ্য, কাজ বন্ধ। করোনাভাইরাস এড়াতে অন্য কোনও উপায়ও নেই। তবে, এর মারাত্মক প্রভাব যে অর্থনীতিতে পড়ছে, সেটা বলাই যায়। পরিস্থিতি ঠিক কোন দিকে এগোচ্ছে বা কতটা খারাপ হবে? সে বিষয়ে অবশ্য এখনই কোনও মত বা সিদ্ধান্তে পৌঁছন সম্ভব নয়, জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। অর্থাত্ আগামী কয়েকদিনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সংখ্যা, সেই হারের সঙ্গে ভিত্তি করে লকডাউনের বৃদ্ধি বা হ্রাস যতটা অনিশ্চিত- ঠিক ততটাই অনিশ্চিত অর্থনৈতিক ভবিষ্যত। তাই জিডিপি বৃদ্ধির হার নিয়ে এখনই কোনও ভবিষ্যদ্বাণী করা ভিত্তিহীন হবে। 

গত মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক প্রায় ৭৫ পয়েন্ট রেপো রেট হ্রাস করে ও অন্যান্য একাধিক পদক্ষেপ করে। দেশের বাজারে যাতে টাকার জোগান থাকে তার একাধিক পদক্ষেপ করা হয়। করোনা মোকাবিলায় বিশাল প্যাকেজের ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীও। কিন্তু এর পরেও দেশের তথা বিশ্বের আর্থিক ভবিষ্যত ঠিক কোন দিকে, তা এখনও অনিশ্চিত, ঠিক যেমন অনিশ্চিত আগামী দিনে করোনার রেখাচিত্র।

আরও পড়ুন: প্রণামী আসছে না! ভক্তদের জন্য ডিজিটাল পুজোর ব্যবস্থা করল দেশের অন্যতম ধনী মন্দির

.