জোটে সায় নিয়ে ভিন্ন দাবি ২ শিবিরের, সাধারণ সম্পাদক পথে থাকছেন সীতারামই
সীতারামের মানরক্ষায় অবশেষে মধ্যপন্থা নেয় সিপিএম। জানা গিয়েছে, আলোচনার সিদ্ধান্ত অনুসারে কেন্দ্রীয় স্তরে কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক জোটে যাবে না সিপিএম। যদিও প্রয়োজনে আঞ্চলিক স্তরে কংগ্রেসের সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতা করা যেতে পারে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নাটকীয় পার্টি কংগ্রেসের শেষ সম্ভবত সিপিএমের সাধারণ সম্পাদকের পদে বহাল থাকতে চলেছেন সীতারামই। শনিবার হায়দরাবাদ থেকে তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। দলীয় সূত্রের খবর, পার্টি কংগ্রেসে তাঁর রাজনৈতিক খসড়া গৃহীত হওয়ার পর সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে যেত সম্মত হয়েছেন তিনি।
গত জানুয়ারিতে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের পক্ষে সরব হন সীতারাম। যদিও তাঁর সেই প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায় বৈঠকে। গত বুধবার হায়দরাবাদ পার্টি কংগ্রেস শুরুর পর থেকেই শিরোনামে ছিল কারাত লবির সঙ্গে বঙ্গব্রিগেডের বিরোধের খবর।
সূত্রের খবর, বৈঠকে সীতারাম ইয়েচুরিকে খসড়া রাজনৈতিক প্রস্তাব পেশে বাধা দেয় কারাত শিবির। যদিও শেষ পর্যন্ত সংখ্যালঘু অংশের বক্তব্য সাধারণ সম্পাদক তুলে ধরেছেন বলে বিবৃতি দিয়ে সিপিএমের তরফে জানানো হয়। শেষ পর্যন্ত তাঁর পেশ করা প্রস্তাব খারিজ হলে সীতারাম কি দলের সাধারণ সম্পাদকের পদে থাকবেন, এই নিয়ে শুরু হয় জোর জল্পনা।
মতানৈক্য মিটেছে, সোমবারই মনোনয়ন, দাবি সরকারের প্রতিনিধির
সীতারামের মানরক্ষায় অবশেষে মধ্যপন্থা নেয় সিপিএম। জানা গিয়েছে, আলোচনার সিদ্ধান্ত অনুসারে কেন্দ্রীয় স্তরে কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক জোটে যাবে না সিপিএম। যদিও প্রয়োজনে আঞ্চলিক স্তরে কংগ্রেসের সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতা করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে যেখানে যে দল শক্তিশালী সেই দল প্রার্থী দিতে পারে।
এর পরই সীতারাম ইয়েচুরির সাধারণ সম্পাদকের পদে বহাল থাকার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হতে থাকে। শনিবার সম্মেলনের অন্দর থেকে খবর এসেছে, এর পরই পদে থাকতে সম্মত হন সীতারাম।
এদিন সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম সাংবাদিকদের জানান, খসড়া প্রস্তাবে রদবদল করা হয়েছে। যদিও সেই দাবি অস্বীকার করে পালটা বৃন্দা কারাত জানান, তেমন কোনও বদল হয়নি খসড়া রাজনৈতিক প্রস্তাবে। ফলে দিনের শেষে বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই যাচ্ছে।