ভোট এগিয়ে আসতেই বেআইনি ভাবে ব্যবহার হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া
ফের খবরের শিরোনামে অনলাইন তদন্তমূলক ম্যাগাজিন কোবরাপোস্ট। ভোটযুদ্ধে বেআইনিভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াকে। স্টিং অপারেশনের মাধ্যমে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছে কোবরাপোস্ট। তাদের দাবি, টাকার বিনিময়ে কারচুপি করে ফেসবুক বা টুইটারে রাজনৈতিক নেতাদের জনপ্রিয় হিসাবে তুলে ধরছে কয়েকটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। আবার কারোর সম্বন্ধে বদনামও করা হচ্ছে। অপারেশন ব্লু ভাইরাস নামে এক স্টিং অপারেশনের মাধ্যমে এই কেলেঙ্কারি ফাঁস করেছে কোবরাপোস্ট।
ফের খবরের শিরোনামে অনলাইন তদন্তমূলক ম্যাগাজিন কোবরাপোস্ট। ভোটযুদ্ধে বেআইনিভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াকে। স্টিং অপারেশনের মাধ্যমে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছে কোবরাপোস্ট। তাদের দাবি, টাকার বিনিময়ে কারচুপি করে ফেসবুক বা টুইটারে রাজনৈতিক নেতাদের জনপ্রিয় হিসাবে তুলে ধরছে কয়েকটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। আবার কারোর সম্বন্ধে বদনামও করা হচ্ছে। অপারেশন ব্লু ভাইরাস নামে এক স্টিং অপারেশনের মাধ্যমে এই কেলেঙ্কারি ফাঁস করেছে কোবরাপোস্ট।
৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোট চলছে। এগিয়ে আসছে লোকসভা নির্বাচনও। তার সঙ্গেই তাল রেখে তুঙ্গে উঠছে কংগ্রেস, বিজেপি সহ রাজনৈতিক দলগুলির প্রচারযুদ্ধ। আর সেই প্রচারযুদ্ধের এক অন্যতম হাতিয়ার সোশ্যাল মিডিয়া। ফেসবুক বা টুইটারের মত সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করেই ভোটমঞ্চে যুযুধান বিজেপির নরেন্দ্র মোদী বা কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী। ফেসবুকে লাইকের সংখ্যা বা টুইটারে ফলোয়ারের সংখ্যা, তা দিয়েই ঠিক হচ্ছে রাজনৈতিক নেতাদের জনপ্রিয়তার মাপকাঠি। রাজনৈতিক নেতাদের এই তথাকথিত জনপ্রিয়তার সারবত্তা নিয়েই এবার প্রশ্ন তুলে দিল অনলাইন তদন্তমূলক ম্যাগাজিন কোবরাপোস্ট। সংস্থার তরফে চাঞ্চল্যকর দাবি, টাকার বিনিময়ে ফেসবুক এবং টুইটারে কয়েকটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা কোনও রাজনৈতিক নেতাকে জনপ্রিয় করে দেখাচ্ছে। অথবা কোনও নির্দিষ্ট নেতার বদনাম করছে। একাজ করতে গিয়ে ওই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি রীতিমত কারচুপির আশ্রয় নিচ্ছে বলেও অনলাইন ম্যাগাজিনটির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে। কীভাবে এই কারচুপি করা হচ্ছে তা অপারেশন ব্লু ভাইরাস নামে এক স্টিং অপারেশনের মাধ্যমে তুলে ধরেছে কোবরাপোস্ট। ওই স্টিং অপারেশনে কোবরাপোস্টের প্রতিনিধি সোশ্যাল মিডিয়ায় জনৈক ভুয়ো রাজনৈতিক নেতার ভাবমূর্তি তৈরির প্রস্তাব নিয়ে হাজির হন বেশ কয়েকটি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার কাছে।
কোবরা পোস্টের দাবি , এই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি রাজনৈতিক নেতাদের নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট তৈরি থেকে শুরু করে তাতে ভুয়ো মন্তব্য প্রকাশেরও ব্যবস্থা করে থাকে। এজন্য তারা লোক ভাড়া তো করেই, তারসঙ্গে বিদেশে অবস্থিত সার্ভারেরও সাহায্য নেয়। এতেই শেষ নয়, কোবরাপোস্টের আরও ভয়াবহ অভিযোগ, যথাযথ টাকা পেলে রাজনৈতিক নৈতাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় বোমা বিস্ফোরণ বা দাঙ্গার মত গুজব ছড়ানোর কাজও করে থাকে এই সব তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি। আর এজন্য তারা ব্যবহার করে ইউ টিউবের মত সাইটকে। এরকম বারোটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার নাম উঠে এসেছে কোবরাপোস্টের তদন্তে। ম্যাগাজিনটির দাবি অনুযায়ী, এধরনের কাজ দুহাজার সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইন, উনিশশো একান্ন সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন এবং উনিশশো একষট্টি সালের আয়কর আইনের বিরোধী এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এর আগেও একাধিকবার স্টিং অপারেশন চালিয়ে খবরের শিরোনামে এসেছে কোবরাপোস্ট। তবে তাদের এবারের চাঞ্চল্যকর অপারেশন ব্লু ভাইরাস ভারতে সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা এবং তার ওপরে ভর করে তৈরি রাজনৈতিক নেতাদের জনপ্রিয়তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল।