টার্গেট দেশের ইয়ং ব্রিগেড, সাইবার দুনিয়ায় ই-ক্যাম্পেনে মেতেছে দেশের তাবর রাজনৈতিক দল

ভোটারদের মন জয়ের নতুন মাধ্যম হিসাবে সাইবার দুনিয়াকে বেছে নিচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। যুবসমাজকে কাছে টানতে ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে ই-ক্যাম্পেন। যুযুধান রাজনৈতিকদলগুলির মধ্যে চলছে সাইবার তরজা। তবে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে জনসংযোগে সবচেয়ে বড় চমক দেখিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একজন সরকার গড়া নিয়ে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মানুষের মতামত চেয়েছেন। অন্যজন, শপথগ্রহণের আগেই নিজের মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের নাম জানিয়ে দিয়েছেন দলের ওয়েব পেজে।

Updated By: Dec 26, 2013, 02:59 PM IST

ভোটারদের মন জয়ের নতুন মাধ্যম হিসাবে সাইবার দুনিয়াকে বেছে নিচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। যুবসমাজকে কাছে টানতে ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে ই-ক্যাম্পেন। যুযুধান রাজনৈতিকদলগুলির মধ্যে চলছে সাইবার তরজা। তবে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে জনসংযোগে সবচেয়ে বড় চমক দেখিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একজন সরকার গড়া নিয়ে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মানুষের মতামত চেয়েছেন। অন্যজন, শপথগ্রহণের আগেই নিজের মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের নাম জানিয়ে দিয়েছেন দলের ওয়েব পেজে।

কী রাজ্য। কী কেন্দ্র। প্রথা বলছে, নতুন মন্ত্রীদের শপথ নেওয়ার বিষয়টি বরাবরই গোপনীয়। মন্ত্রিসভার সম্ভাব্য রদবদল নিয়ে সংবাদমাধ্যমে আলোচনা চলে। কিন্তু, কারা মন্ত্রী হচ্ছেন তা জানা যায় শপথ গ্রহণের সময়। এই প্রথাটাই ভেঙে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্যোসাল নেটওয়ার্কিং সাইটে বরাবরই তিনি স্বচ্ছন্দ। কেন্দ্রের সমালোচনাই হোক, বা উৎ সবে-পার্বণে জনগণকে শুভেচ্ছা। কাজ চালাতে ইদানিং ফেসবুককেই বেছে নেন তিনি। তবে, বৃহস্পতিবার নতুন চমক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য মন্ত্রিসভায় কারা আসছেন, তা শপথগ্রহণের আগের দিনই প্রকাশ করে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের ওয়েবসাইটে।

আসা যাক আম আদমি পার্টির কথায়। রামলীলা ময়দানের জনমত নিয়ে সরকার গঠনের কথা আগে কেউ না শুনলেও তা করে দেখিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আপ সরকারে যাবে কি যাবে না? এ বিষয়ে কী ভাবছেন দিল্লির বাসিন্দারা?
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মানুষের মতামত জানতে চেয়ে নজির গড়েছেন কেজরিওয়ালরা।

কংগ্রেস-বিজেপি সহ দেশের প্রথম সারির রাজনৈতিক দল তো বটেই। মেজ-ছোটো সব দলেরই রয়েছে ওয়েবসাইট।

দলের খুঁটিনাটি থেকে শুরু করে ভোটের ইস্তাহার। সবই দেওয়া থাকছে তাতে। তবে, ফেসবুক-টুইটারে ডুবে থাকা যুবসমাজের কাছে যেতে এখন আর শুধুমাত্র দলীয় ওয়েবসাইটের ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না রাজনৈতিক নেতারা। তাঁরা নিজেদের নামে খুলছেন আলাদা ওয়েবসাইট। আর, ফেসবুক-টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে অনবরত দিয়ে যাচ্ছেন আপডেট। করছেন নানা মন্তব্য।

বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী ইতিমধ্যেই সাইবার দুনিয়ায় যথেষ্ট জনপ্রিয়। রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যাই নাকি সবচেয়ে বেশি। পিছিয়ে নেই এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ই-ক্যাম্পেনের লড়াইয়ে মোদীর সঙ্গে সমানে সমানে টক্কর দিতে পাল্টা ওয়েবসাইট খুলেছে কংগ্রেসও। দলের সাইবার প্রচারের দায়িত্ব অজয় মাকেনকে দিয়েছেন রাহুল গান্ধী।

বড় জনসভা, ছোট পথসভা, ব্যানার-হোর্ডিং, বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ। প্রচারের এইসব ধারা বহাল আছে আগের মতোই। তবে, সাইবার দুনিয়ার মতো নতুন একটি মাধ্যম হাতে চলে আসায়, তার সুযোগ ছাড়তে নারাজ রাজনৈতিক নেতারা।

.