রাক্ষসের মত এগোচ্ছে সাইক্লোন, আর কিছুক্ষণ পরেই ২৪০ কিমি বেগে আছড়ে পড়বে ওড়িশায়, পুরীতে ১০ ফুট ঢেউয়ের আশঙ্কা, মারা গেলেন তিনজন

ওড়িশা-অন্ধ্র উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে সাইক্লোন পাইলিন। সন্ধে নাগাদ তা আছড়ে পড়বে গোপালপুরের কাছে। বর্তমানে সাইক্লোনটি গোপালপুর থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। ইতিমধ্যেই ওড়িশা উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। বইছে ১৫০ কিলোমিটারের বেশি বেগে ঝোড়ো হাওয়া। ঝড়ের গতি ঘণ্টায় ২৪০ কিলোমিটারেরও বেশি হতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা। গঞ্জাম, পুরী, জগতসিংপুর এবং খুরদায় পাইলিনের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা।

Updated By: Oct 12, 2013, 05:10 PM IST

ওড়িশা-অন্ধ্র উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে সাইক্লোন পাইলিন। সন্ধে নাগাদ তা আছড়ে পড়বে গোপালপুরের কাছে। বর্তমানে সাইক্লোনটি গোপালপুর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে।
ইতিমধ্যেই ওড়িশা উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। বইছে ১৫০ কিলোমিটারের বেশি বেগে ঝোড়ো হাওয়া। ঝড়ে গাছ পড়ে মারা গেলেন তিনজন। ঝড়ের গতি ঘণ্টায় ২৪০ কিলোমিটারেরও বেশি হতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা। গঞ্জাম, পুরী, জগতসিংপুর এবং খুরদায় পাইলিনের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা।
আজ সকাল থেকে পারাদ্বীপ সহ বিভিন্ন জায়গায় ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে৷ গতকাল রাত থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পারাদ্বীপ বন্দর৷ অন্ধ্র ও ওড়িশার দুই রাজ্যেই ইতিমধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

ইক্লোন পাইলিন মোকাবিলায় ওড়িশা ও অন্ধ্রের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে পৌঁছে গিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। ইতিমধ্যেই অন্ধ্র ও ওড়িশার সাতটি জেলা থেকে সাড়ে চার লক্ষের বেশি মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ভাইস প্রেসিডেন্ট শ্রীধর রেড্ডি।
আজ বিকেলে ওড়িশার গোপালপুরের কাছে সাইক্লোন পাইলিন আছড়ে পড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এই অবস্থায় বিদেশ-বিভুঁইয়ে কর্মরত প্রবাসী ওড়িশার মানুষ ফিরতে চাইছেন স্বজনদের কাছে। আবার যাঁরা ভিন রাজ্যের বাসিন্দা, তাঁরা দ্রুত ছাড়ছেন ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন পর্যটকরাও। শুক্রবার রাতে হাওড়া স্টেশনে দেখা গেল এই দুই ধরনের যাত্রীদের উত্কণ্ঠিত চেহারা। তার উপরে আরপিএফ, নিরাপত্তা বাহিনীর চোখরাঙানি, শাসানি আর দুর্ব্যবহারে নাজেহাল অবস্থা যাত্রীদের।

পাইলিনের আতঙ্কে দিশেহারা কলকাতা বা এই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত
ওড়িশার মানুষ এখন দ্রুত ফিরতে চাইছেন তাঁদের স্বজনদের কাছে। পাশে দাঁড়াতে
চাইছেন পরিবারের।
শুক্রবার রাতে হাওড়া স্টেশনে গিয়ে দেখা গেল তাঁদের অনেককে। যাওয়ার ট্রেন
পুরী এক্সপ্রেস। রিজার্ভেশন নেই, তাই অধিকাংশ যাত্রীই ভিড় করেছেন জেনারেল
কম্পার্টমেন্টে। একে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা, তার উপরে যাত্রাবিভ্রাট।
এই দমবন্ধকর পরিস্থিতিতে আরপিএফ এবং নিরাপত্তা রক্ষীদের দুর্ব্যবহার তাঁদের
পরিস্থিতি আরও শোচনীয় করে তুলেছে।

অন্যদিকে, যাঁরা ধৌলী এক্সপ্রেসে এলেন ওড়িশা থেকে তাঁদের অনেকেই আবার
বেড়ানোর জন্য পরশুদিন পৌঁছেছিলেন ওড়িশারই বিভিন্ন জায়গায়। পাইলিনের
আতঙ্কে সব বাতিল করে ঘরে ফিরেছেন তাঁরা।

.