দাউদের আত্মসমর্পণের ইচ্ছা! ওড়ালেন নীরজ কুমার
তাঁর কাছে আত্মসমর্পণের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিল দাউদ ইব্রাহিম। একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত চাঞ্চল্যকর এ খবর খারিজ করেছেন সিবিআইয়ের প্রাক্তন অধিকর্তা নীরজ কুমার নিজেই। তাঁর দাবি, সেরকম কোনও সুযোগ এলে তিনি কখনোই হাতছাড়া করতেন না।
ওয়েব ডেস্ক: তাঁর কাছে আত্মসমর্পণের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিল দাউদ ইব্রাহিম। একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত চাঞ্চল্যকর এ খবর খারিজ করেছেন সিবিআইয়ের প্রাক্তন অধিকর্তা নীরজ কুমার নিজেই। তাঁর দাবি, সেরকম কোনও সুযোগ এলে তিনি কখনোই হাতছাড়া করতেন না।
১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের দেড় বছর পরেই আত্মসমর্পণ করতে চেয়েছিল দাউদ ইব্রাহিম। চাঞ্চল্যকর এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে হিন্দুস্তান টাইমসে। ইংরেজি দৈনিকের রিপোর্টে, তত্কালীন CBI প্রধান নীরজ কুমারকে উদ্ধৃত করা হয়েছে। পত্রিকার দাবি, নীরজ কুমার হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, সিবিআই তদন্ত চলাকালীন ১৯৯৪ সালের জুন মাসে তাঁর সঙ্গে ডি কোম্পানি প্রধানের তিন বার ফোনে কথা হয়। দাউদের বিশ্বস্ত শাগরেদ মণীশ লালার মাধ্যমে দুজনের কথা হয়েছিল। ছোটা রাজনের গ্যাং মণীশকে গুলি করে খুন করে। HT-কে নীরজ কুমার বলেন, মুম্বই বিস্ফোরণে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছিল দাউদ।
আত্মসমর্পণের কথা ভাবলেও, নিজের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত ছিল সে। তাই ধরা দেওয়ার শর্ত নিয়ে কথাবার্তা চলছিল। এরপর হঠাত্ই একদিন দাউদের সঙ্গে নীরজ কুমারকে কথা বলতে বারণ করা হয়। তারপর তাঁকে মুম্বইয়ের পুলিস কমিশনার পদে বসানো হয়। যদিও হিন্দুস্তান টাইমসের এ খবর সরাসরি উড়িয়ে দিয়েছেন খোদ নীরজ কুমার নিজেই। সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে একটি বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সেরকম সুযোগ এলে তিনি নিশ্চই দাউদকে গ্রেফতার করতেন।
এদিকে মুম্বই হামলার পর রাম জেটমালানিও দাবি করেছিলেন যে দাউদ ইব্রাহিম তাঁকে ফোন করে ধরা দেওয়ার কথা বলেছিল। তবে শর্ত ছিল, তাকে নিজের বাড়িতেই গৃহবন্দি রাখতে হবে।