অসমে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৮, এখনও জারি কার্ফিউ
অসমে হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫৮। হিংসা কবলিত এলাকাগুলিতে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সংঘর্ষ অব্যাহত। জারি রয়েছে কার্ফিউ। কোকরাঝাড়, ধুবুড়ি, চিরাং, বঙ্গাইগাঁওয়ে প্রায় তিন লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া।
অসমে হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫৮। হিংসা কবলিত এলাকাগুলিতে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সংঘর্ষ অব্যাহত। জারি রয়েছে কার্ফিউ। কোকরাঝাড়, ধুবুড়ি, চিরাং, বঙ্গাইগাঁওয়ে প্রায় তিন লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া।
মোট ১৩৮টি ত্রাণ শিবিরে গৃহহীনদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আতঙ্কে বহু মানুষ এখনও অসম ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসছেন। পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে, আগামিকাল অসম যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল, কোকরাঝাড়ে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ দাবি করেন, রাজ্যের পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হচ্ছে। যদিও, হিংসা মোকাবিলায় আরও আধা-সামরিক বাহিনী চাওয়া হয়েছে। হিংসা বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে আজকের মধ্যে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হবে। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় অসমে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে ট্রেন চলাচল।
অন্যদিকে বাসুদেব আচারিয়ার নেতৃত্বে অসমে যাচ্ছে সিপিআইএমের এক প্রতিনিধি দল। তিন সদস্যের এই প্রতিনিধি দলে বাসুদেব আচারিয়া ছাড়াও থাকবেন বাজুবন রিয়াঙ এবং সাইদুল হক। শুক্রবার সন্ধ্যায় গুয়াহাটি পৌঁছবেন তাঁরা। পরের দুদিন অর্থাত্ শনি এবং রবিবার বিভিন্ন ত্রাণশিবির ঘুরে দেখবে এই প্রতিনিধি দল। গতকালই সিপিআইএম পলিটব্যুরোর তরফে এক বিবৃতিতে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের গুরুতর শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। তবে অসমে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠানোর নামে সিপিআইএম হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছেন সিপিআইএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র।
অসমের থেকে কোনও শরণার্থী এলে তাদের আশ্রয় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া এবং তাঁদের খাদ্যের সংস্থান করা সামাজিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।