নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতের কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করে টুইট করেন পপ স্টার রিহানা ও পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। তারপর থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসেন তাঁরা। বিশেষত গ্রেটাকে নিয়ে নতুন ‘টুলকিট’ বিতর্ক এখন দেশজুড়ে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সূত্রপাতটা অবশ্য করেন গ্রেটা(Greta Thunberg) নিজেই। টুলকিটের লিঙ্ক দিয়ে বলেন, অনলাইন বা অফলাইনে এই আন্দোলনে যাঁরা সামিল হতে চান, তাঁদের জন্যেই এই লিঙ্ক। তার সূত্র ধরেই দিল্লি পুলিস খুঁজে বেড়াচ্ছে এই ‘টুলকিট’-এর মালিককে। বৃহস্পতিবার তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে দিল্লি পুলিস(Delhi Police)। উঠে এসেছে মো ধালিওয়াল নামে এক শিখ কানাডিয়ানের নাম। কে এই ধালিওয়াল?


আরও পড়ুন-নাইসেডে যাওয়ার আমন্ত্রণ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে, দেখানো হবে 'কোবাস'  


মো ধালিওয়ালের(Mo Dhaliwal) জন্ম কানাডায়। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে একটি ভিডিও। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, ভ্যাঙ্কুভারে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বক্তৃতা করছেন তিনি। তিনি বলছেন, ‘ভবিষ্যতে কৃষি আইনগুলি(Farm Laws) প্রত্যাহার করে নেওয়া হলেই, তা জয় বলা যাবে না। বরং কৃষি আইনগুলি প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর থেকেই আসল যুদ্ধ শুরু হবে। কারণ, ওরা এই আন্দোলন থেকে সমস্ত উৎসাহ-উদ্দীপনা শেষ করে দিতে চাইছে। ওরা বোঝানোর চেষ্টা করছে, আপনারা পাঞ্জাবের থেকে আলাদা এবং খলিস্তানি আন্দোলনে জড়িত নন।’ এই বক্তৃতা ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই কৃষক আন্দোলন নিয়ে ধালিওয়ালের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। 


দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের স্পেশাল পুলিশ কমিশনার প্রবীণ রঞ্জন বলেন, ‘দিল্লি পুলিসের FIR-এ কোনও ব্যক্তির নাম করা হয়নি। তবে ওই টুলকিট তৈরির পিছনে ‘পোয়েটিক জাস্টিস ফাউন্ডেশন’ নামে কানাডার একটি সংগঠন রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে তা উঠে এসেছে।’ দিল্লি পুলিশের সাইবার সেল ওই ‘টুলকিট’ প্রস্তুতকারীদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতা, আপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, ঘৃণা ছড়ানোর মত ধারায় মামলা রুজু করেছে। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই উঠে এসেছে মো ধালিওয়ালের নাম।


আরও পড়ুন-ফাঁদে পা দেবেন না, কৃষকদের সঙ্গে অন্যায় করছেন Mamata, এবার ভোটে টাটা করে দিন: Nadda


দিল্লি পুলিশের নজরে থাকা ‘পোয়েটিক জাস্টিস ফাউন্ডেশন’ সংস্থার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে ধালিওয়ালের। অভিযোগ, যে বিতর্কিত ‘টুলকিট’টি  থুনবার্গ টুইট করেছিলেন, তা ওই সংগঠনটি তৈরি করেছে। একটি ফেসবুক পোস্টে ধালিওয়াল দাবি করেছেন, তাঁদের  সংগঠনের মূল ফান্ডিং করেন অনিতা লাল আর তিনি নিজে ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘স্কাইরকেট’ নামের একটি ‘ডিজিটাল ব্র্যান্ডিং ক্রিয়েটিভ এজেন্সি’র চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট।