কালোটাকার কারবারিদের ট্যাক্স দিতে বাধ্য করাই ছিল লক্ষ্য, নোট বাতিলের বর্ষপূর্তিতে ব্যাখ্যা জেটলির

নোট বাতিলের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে বৃহস্পতিবার সরকারকে নিশানা করছে বিরোধীরা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং দাবি করেছেন, নোট বাতিলের কুফল এখনও মানুষ ভোগ করছে  

Updated By: Nov 8, 2018, 01:25 PM IST
কালোটাকার কারবারিদের ট্যাক্স দিতে বাধ্য করাই ছিল লক্ষ্য, নোট বাতিলের বর্ষপূর্তিতে ব্যাখ্যা জেটলির

নিজস্ব প্রতিবেদন: নোট বাতিলের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে বৃহস্পতিবার সরকারকে নিশানা করছে বিরেধীরা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং দাবি করেছেন, নোট বাতিলের কুফল এখনও মানুষ ভোগ করছে। কিন্তু অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলছেন একেবারে উল্টো কথা।

আরও পড়ুন-দীপাবলির রাতে কলকাতায় শব্দবাজির দাপট, দূষণে ঢাকল শহর, ধৃত ৯৩

জেটলি এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছেন, কারও টাকা কেড়ে নেওয়া সরকারের উদ্দেশ্য ছিল না। দেশের অর্থনীতিতে সংস্কার আনতে নরেন্দ্র মোদী সরকারের কয়েকটি পদক্ষেপের মধ্যে এটি ছিল একটি। সাধারণ মানুষের টাকা কেড়ে নেওয়া নোটবন্দির উদ্দেশ্য ছিল না। বরং কালোটাকা অর্থনীতিতে ফিরিয়ে আনা ও কালোটাকার মালিকদের কর দিতে বাধ্য করাই এর উদ্দেশ্য ছিল। অনেকে মনে করেন কালোটাকার পুরোটাই ব্যাঙ্কে জমা পড়ে গিয়েছে। এই তথ্য একেবারে ভুল।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে নোট বাতিলের সময়ে সরকারের জোরাল দাবি ছিল, অর্থনীতি থেকে কালো টাকা থাকবে না। সন্ত্রাসে টাকা জোগান কমবে। কালোটাকার কারবারিরা তাদের লুকানো টাকা ব্যাঙ্কে জমা করতে বাধ্য হবে। বিরোধীদের মতে এর কোনটাই হয়নি। নোট বাতিলের দু বছর পর তারই জবাব দিতে সোশ্যাল মিডিয়ার আশ্রয় নিয়েছেন জেটলি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারের প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল বিদেশ থেকে কালো টাকা ফেরত আনা। তাদের ট্যাক্স ও জরিমানা দিতে বাধ্য করা। যারা তাদের কালো টাকা জমা করেনি ব্ল্যাক মানি আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নোট বাতিলের পর এখন ট্যাক্স এড়িয়ে যাওয়া বেশ কঠিন।

আরও পড়ুন-কালী প্রতিমার গা থেকে চুরি বিপুল সোনার গয়না, ধুন্ধুমার বীরভূমে  

রীতিমতো পরিসংখ্যা দিয়ে জেটলি লিখেছেন, ২০১৪ সালের মে মাসে এনডিএ সরকার যখন ক্ষমতায় আসে তখন দেশে তখন ৩.৮ কোটি মানুষ আয়কর রিটার্ন জমা দিতেন। এই সরকারের প্রথম ৪ বছরেই তা বেড়ে হয়েছে ৬.৮৬ কোটি। সরকারের মেয়াদের শেষে তা দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে যাবে।

প্রসঙ্গত ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী আচমকাই দেশে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল হওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তার পরিবর্তে বাজারে আনেন নতুন ৫০০ ও ২০০০ টাকার নোট। নতুন নোট আসার আগে নোটের আকালে ভুগেছেন বহু মানুষ। টাকা তুলতে গিয়ে ব্যাঙ্কে লাইন দিয়ে মৃত্যু হয় ৬০ জনেরও বেশি মানুষের।

.