ধনতেরাসে শুভেচ্ছা নরেন্দ্রমোদীর, আজ দেশকে দেবেন দুটি উপহার
আয়ুর্বেদের কোভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে এ বছরের আয়ুর্বেদ দিবসে মূল ভাবনা হিসেবে রাখা হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৩ নভেম্বর জামনগর এবং জয়পুরে দুটি অত্যাধুনিক আয়ুর্বেদিক প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন। পঞ্চম আয়ুর্বেদ দিবসে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জামনগরে ইনস্টিটিউট অফ টিচিং অ্যান্ড রিসার্চ (আইটিআরএ) এবং জয়পুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ আয়ুর্বেদ (এনআইএ)- এর উদ্বোধন করবেন। এই দুটি প্রতিষ্ঠান একবিংশ শতাব্দীতে আয়ুর্বেদের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক স্তরে নেতৃত্বদান করবে বলে মনে করছে কেন্দ্র।
ধন্বন্তরি জয়ন্তীতে ২০১৬ সাল থেকে প্রতি বছর আয়ুর্বেদ দিবস উদযাপিত হচ্ছে। এ বছর ১৩ই নভেম্বর এই দিনটি পালন করা হবে। আয়ুর্বেদ দিবসের মাধ্যমে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং সমাজে এর গুরুত্ব তুলে ধরতেই মূলত এর উদযাপন। করোনা পরিস্থিতিতে আয়ুর্বেদিক চর্চার দিকে ঝুঁকেছে দেশবাসী। তাই এবছর আয়ুর্বেদ দিবস অন্য মাত্রা নেবে তা বলা বাহুল্য। প্রসঙ্গত, আয়ুর্বেদের কোভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে এ বছরের আয়ুর্বেদ দিবসে মূল ভাবনা হিসেবে রাখা হয়েছে।
আয়ুষ ব্যবস্থার বিপুল সম্ভাবনাকে এখনও স্বাস্থ্য পরিষেবা কাজে লাগানো হয়নি। আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভারতের জনস্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলার জন্য যথাযথ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা।
আয়ুষ শিক্ষার আধুনিকীকরণের ওপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে। বিগত ৩-৪ বছর ধরে এর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। জামনগরের আইটিআরএ-কে একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান এবং জয়পুরের এনআইএ-কে একটি ডিমড ইউনিভার্সিটি হিসেবে গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে দেশে আয়ুর্বেদের গুরুত্ব বোঝানো হচ্ছে। এর ফলে, আয়ুর্বেদ শিক্ষার আধুনিকীকরণ সুনিশ্চিত হবে বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি চিরায়ত চিকিৎসা ব্যবস্থারও মানোন্নয়ন ঘটানো হবে। এর মাধ্যমে আয়ুর্বেদ শিক্ষা, বিভিন্ন পাঠক্রম তৈরি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অনুসারে করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। যার ফলে, আধুনিক পদ্ধতিতে গবেষণার সুযোগ তৈরি হবে।