নমুনা দিতে অনীহা, দু`দিনের মধ্যে তিওয়ারির জবাব চাইল হাইকোর্ট

এর আগে নিম্ন আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ডিএনএ পরীক্ষা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। `পিতৃত্বের দায়` এড়াতে হাতিয়ার করেছেন, নিজের বয়স এবং শারীরিক অসুস্থতাকে। এবার কিন্তু নারায়ণ দত্ত তিওয়ারিকে ডিএনএ টেস্টে হাজির হয়ে রক্তের নমুনা জমা দেওয়ার নির্দেশ পালন করাতে বদ্ধপরিকর দিল্লি হাইকোর্ট।

Updated By: May 14, 2012, 01:49 PM IST

এর আগে নিম্ন আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ডিএনএ পরীক্ষা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। `পিতৃত্বের দায়` এড়াতে হাতিয়ার করেছেন, নিজের বয়স এবং শারীরিক অসুস্থতাকে। এবার কিন্তু নারায়ণ দত্ত তিওয়ারিকে ডিএনএ টেস্টে হাজির হয়ে রক্তের নমুনা জমা দেওয়ার নির্দেশ পালন করাতে বদ্ধপরিকর দিল্লি হাইকোর্ট। সোমবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি ক্ষেত্রপালের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এন ডি তিওয়ারির কাছে জানতে চেয়েছেন, তিনি স্বেচ্ছায় রক্তের নমুনা জমা দেবেন, না কি জোর করে পুলিসের সাহায্যে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য `ব্লাড স্যাম্পল` সংগ্রহ করতে হবে? এ বিষয়ে দু`দিনের মধ্যে ৮৬ বছরের কংগ্রেস নেতার লিখিত জবাবদিহি চেয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। আগামী ১৬ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
দিল্লির বাসিন্দা রোহিত শেখরের দাবি, নারায়ণদত্ত তিওয়ারি তাঁর জন্মদাতা পিতা। এই মর্মে দিল্লির একটি আদালতে মামলাও দায়ের করেন তিনি। কিন্তু আদালতের আদেশ সত্ত্বেও গত বছর ডিএনএ পরীক্ষার জন্য রক্ত দিতে হাজির হননি তিওয়ারি। সে সময় তিওয়ারিকে রক্ত দিতে বাধ্য করা যায় না বলে রায় দিয়েছিলেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি গীতা মিত্তাল। কিন্তু গত ২৭ এপ্রিল ৩১ বছরের যুবক রোহিত শেখরের পুনর্বিবেচনার আবেদনে সাড়া দিয়ে উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রীকে রক্তের নুমনা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় দিল্লি হাইকোর্টের উচ্চতর বেঞ্চ। এ ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশের অবমাননা করলে প্রয়োজনে পুলিসি হস্তক্ষেপেরও সুপারিশ করেছিল দিল্লি হাইকোর্টের বেঞ্চ। কিন্তু তা সত্ত্বেও নির্দেশ পালিত না হওয়ায় ক্ষুব্ধ আদালত এবার কার্যত ডিএনএ পরীক্ষার জন্য রক্ত সংগ্রহের ব্যাপারে পুলিসি সাহায্য নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। শুধু তাই নয়, তিওয়ারির রক্তের নমুনা সংগ্রহের জন্য হায়দরাবাদের `সেন্টার ফর ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্টিং অ্যান্ড ডায়াগোনেস্টিকস`কে প্রয়োজনীয় `কিট` পাঠানোরও নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, রোহিত শেখর কাণ্ড ছাড়াও এন ডি তিওয়ারির বিরুদ্ধে বেশ কিছু নারীঘটিত বিতর্ক রয়েছে। ২০০৯ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্যপাল থাকাকালীন তিন মহিলার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় গোপন ক্যামেরায় বন্দি হন এন ডি তিওয়ারি। এরপরই কেন্দ্রের নির্দেশে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন তিনি। এ ধরনের নানা অভিযোগের কারণেই উত্তরাখণ্ডের সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা ভোটে তাঁকে মনোনয়ন দেয়নি কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। এই পরিস্থিতিতে দিল্লি হাইকোর্টের এদিনের রায় এন ডি তিওয়ারির বিড়ম্বনা নিশ্চিতভাবেই অনেকটা বাড়িয়ে দিল।

.