করোনায় প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে ‘টার্গেট’ চিকিত্সকরাই, ইট ছুড়ে মারা হল ইনদওরে
মধ্য প্রদেশের ইনদওরে দেখা গেল, করোনা পরীক্ষা করতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে চিকিত্সক-স্বাস্থ্যকর্মীদের নিগৃহীত হতে
নিজস্ব প্রতিবেদন: কোথাও করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হলে, মার খাচ্ছেন চিকিত্সকরা। কোথাও বা করোনা পরীক্ষা করতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে নিগৃহীত হতে হচ্ছে চিকিত্সক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের। এমনই ঘটনা দেখা গেল হায়দরাবাদ, ইনদওরে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন করোনার বিরুদ্ধে লড়া প্রথম সারির যোদ্ধারা।
বৃহস্পতিবার, হায়দরাবাদ গান্ধী হাসপাতালে মৃত্যু হয় ৪৯ বছর বয়সী করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তির। করোনা পজেটিভ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ আগে ভর্তি হয়েছিল হায়দরাবাদ গান্ধী হাসপাতালে। ওই ব্যক্তির মৃত্যুর জন্য চিকিত্সকদের গাফিলতির অভিযোগ তোলে পরিবারের সদস্যরা। এরপর চিকিত্সক-নার্সদের উপর তাঁরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
গান্ধী হাসপাতালের চিকিত্সকরা দাবি করেছেন, এমন ঘটনা প্রায়শই ঘটছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তাঁরা। তেলেঙ্গানা সরকার এবং পুলিসের সাহায্যের দাবি জানিয়েছেন চিকিত্সকরা। এ ধরনের ঘটনা হায়দরাবাদে সীমিত নেই।
#CoronaUpdate Locals pelt Stones on health department officials in Taat patti Indore, engaged in screening of #COVID19Pandemic @ndtv @digvijaya_28 @BeingSalmanKhan @ChouhanShivraj @OfficeOfKNath #CoronaVirusUpdates #COVID19 #lockdown pic.twitter.com/SbJA5Iiwjk
— Anurag Dwary (@Anurag_Dwary) April 1, 2020
মধ্য প্রদেশের ইনদওরে দেখা গেল, করোনা পরীক্ষা করতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে চিকিত্সক-স্বাস্থ্যকর্মীদের নিগৃহীত হতে। ইনদওরের তত পত্তি বাখাল এলাকাকে করোনা সংক্রমণিত এলাকা বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে ৫৪টি পরিবারকে নজরবন্দি রাখা হয়েছে। করোনা পরীক্ষার জন্য দুই চিকিত্সকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল গেলে তাঁদের উপর চড়াও হন স্থানীয়রা। পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। আহত হন দুই মহিলা চিকিত্সক। দুই দিন আগে রানিপুরাতেও করোনা-আধিকারিকদের নিগৃহীত হতে হয়েছিল স্থানীয়দের হাতে।
#WATCH Madhya Pradesh: Locals of Tatpatti Bakhal in Indore pelt stones at health workers who were there to screen people, in wake of #Coronavirus outbreak. A case has been registered. (Note-Abusive language) (1.04.2020) pic.twitter.com/vkfOwYrfxK
— ANI (@ANI) April 1, 2020
আরও পড়ুন- বাংলা না ইতালি? লকডাউন ভেঙে মণ্ডা-মিঠাই খাওয়ার আগে ভেবে নিন
কলকাতাতেও এমন নজির দেখে গিয়েছে। করোনা চিকিত্সকদের বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না বলে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। প্রশ্ন উঠছে, করোনা যুদ্ধে যাঁরা জীবন ঝুঁকি নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের উপর কেন অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। চিকিত্সক-স্বাস্থ্য কর্মীদের জীবন-সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল তো ঘোষণা করেন, সেনার মতো তাঁদের মৃত্যু হলে শহিদের মর্যাদা দেওয়া হবে।