গোরক্ষপুরে শিশুদের প্রাণ বাঁচিয়েও আট মাস জেল, টানা ২ বছর পর ক্লিনচিট পেলেন ডা কাফিল খান
শিশু মৃত্যুর ঘটনায় মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়। ২ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয় ডাক্তার কাফিল খানকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অবশেষে অভিযোগ থেকে মুক্তি। ২০১৭ সালে গোরক্ষপুরে সরকারি হাসপাতালে শিশুমৃত্যু ঘটনায় ৮ মাস জেল খাটার পর অবশেষে সব অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন ডাক্তার কাফিল খান।
আরও পড়ুন-ইডিতে হাজিরা দেওয়ার আগেই পাওয়ারের বাসভবনে হাজির পুলিস, হানা এনসিপি কার্যালয়েও
গোরক্ষপুরের বিআরডি মেডিক্যাল কলেজে শিশু বিভাগের দায়িত্ব ছিলেন ডাক্তার কাফিল খান। ২০১৭ সালে ১০-১১ অগাস্টের মধ্যে আচমকাই এনসেফেলাইটিসে আক্রান্ত ৬৩ শিশুর মৃত্যু হয়। অভিযোগ ওঠে অক্সিজেনের অভাবেই ওইসব শিশুদের বাঁচানো যায়নি। কর্তব্যরত চিকিত্সক কাফিল খান নিজের উদ্যোগ বেশকিছু অক্সিজেন সিলিন্ডার জোগাড় করে বহু শিশুর প্রাণ বাঁচান। এনিয়ে প্রবল তোলপাড় শুরু হয়ে যায় রাজ্যে। তাতেই সরকারের চক্ষুশূল হয়ে ওঠেন কাফিল খান।
ওই ঘটনার পর হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ। তার পরেই ডাক্তার কাফিল খানকে বরখাস্ত করা হয়। শুধু তাই নয়, অভিযোগ করা হয় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে শিশুদের অবস্থা জটিল হওয়া সত্বেও তাদের বাঁচানোর কোনও চেষ্টা করেননি ডাক্তার খান। আরও অভিযোগ আনা হয়, হাসপাতালে অক্সিজেন কম রয়েছে জেনেও কোনও ব্যবস্থা নেননি ডাক্তার খান।
Those parents who lost their infants are still waiting for the justice.I demand that government should apologize and give compensation to the victim families.@PTI_News @TimesNow @myogiadityanath @narendramodi @ndtv @ravishndtv @abhisar_sharma @yadavakhilesh @RahulGandhi @UN pic.twitter.com/WaTwQSCUuZ
— Dr kafeel khan (@drkafeelkhan) September 27, 2019
শিশু মৃত্যুর ঘটনায় মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়। ২ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয় ডাক্তার কাফিল খানকে। টানা ৮ মাস পরে জামিনে মুক্তি পান তিনি। আদালতের তরফে বলা হয় শিশু মৃত্যু ঘটনার সঙ্গে সরাসরি ডাক্তার কাফিল খানের কোনও যোগাযোগ নেই।
আরও পড়ুন-সম্ভবত চন্দ্রগহ্বরের ছায়ায় ঘুমাচ্ছে বিক্রম, নাসার যানের তোলা ছবিতেও দেখা মিলল না তার
এদিকে, ওই ঘটনার তদন্তে নামে প্রশাসন। সেই রিপোর্টে এতদিনে প্রকাশিত হল। সেখানে বলা হয়েছে, শিশু মৃত্যু ঘটনায় কাফিল খানের কোনও গফিলতি ছিল না। এনিয়ে, কাফিল খান সংবাদমাধ্যমে বলেন, যখন আমাকে গ্রেফতার করা হয় তখন আমার মেয়ের বয়স মাত্র ১০। যখন ছাড়া পেয়েছিলাম তখন আমার মেয়ে আমাকে চিনতেই পারেনি। এতকিছুর পরও আজও আমাকে কোনও শিশুর প্রাণ বাঁচাতে হলে যা করার হয় করব। সরকার আসল লোককে না ধরে আমাকে নিশানা করেছিল। এতবড় ঘটনার পর সরকারের এখন ক্ষমা চাওয়া উচিত।