`সাংবাদিক গ্রেফতার ভারতের ইতিহাসে কালো দিন`, জি গোষ্ঠী
`কয়লা কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দিতেই দুই সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।` আজ দিল্লিতে কনস্টিটিউশন ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা বলেন জি গোষ্ঠীর সিইও অলোক আগরওয়াল। অবিলম্বে জি নিউজের এডিটর সুধীর চৌধুরী ও জি বিজনেসে-এর এডিটর সমীর আলুওয়ালিয়ার মুক্তির দাবিও করেন জি নিউজ কর্তৃপক্ষ। এই গ্রেফতারকে বেআইনি দাবি করেন তিনি।
`কয়লা কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দিতেই দুই সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।` আজ দিল্লিতে কনস্টিটিউশন ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা বলেন জি গোষ্ঠীর সিইও অলোক আগরওয়াল। অবিলম্বে জি নিউজের এডিটর সুধীর চৌধুরী ও জি বিজনেসে-এর এডিটর সমীর আলুওয়ালিয়ার মুক্তির দাবিও করেন জি নিউজ কর্তৃপক্ষ। এই গ্রেফতারকে বেআইনি দাবি করেন তিনি। অলোক আগরওয়াল বলেন, "স্বাধীনতার ৬৫ বছরের ইতিহাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার রাজরোষে পড়ল মিডিয়ার বাকস্বাধীনতা।" তিনি মনে করিয়ে দেন অভিযোগ দায়েরকারী সংস্থা জিন্দল স্টিল অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড সিএজির রিপোর্টে অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত। জি গোষ্ঠীর দাবি রাজনৈতিক চাপে মিডিয়ার বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে অলোক আগরওয়াল জানান, কংগ্রেস সাংসদ নবীন জিন্দলের মা শ্রীমতী সাবিত্রী জিন্দল জি গ্রুপের অন্যতম অধিকর্তা জওহর গোয়েলের সঙ্গে দেখা করে ব্যক্তিগত পরিচিতির দোহাইয়ে কয়লা কেলেঙ্কারির খবর না প্রকাশ করতে মানসিক চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করেন। ছ`ঘণ্টার ভিডিও ফুটেজের মাত্র ৫ মিনিটের রেকর্ডিং দেখিয়ে সহজেই সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝানো যায়। একই কথা বলেন সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত জি গোষ্ঠীর আইনজীবী আর কে হান্ডু। তিনি বলেন যাঁরা সম্পূর্ণ কথপোকথন শুনেছেন তাঁরা স্পষ্টই জানেন কোনও টাকা পয়সার লেনদেন হয়নি। তাঁর প্রশ্ন সেক্ষেত্রে কীভাবে টাকা নেওয়ার অভিযোগ আনা হচ্ছে। তিনি বলেন, "জি-এর এডিটর এবং জিন্দল গ্রুপের মধ্যে ৫-৬ ঘণ্টার কথোপকথনের মাত্র ১৫ মিনিট কেটে দেখানো হলে তাকে যে কোনও ভাবেই বর্ণনা করা সম্ভব।" তাঁর আরও প্রশ্ন, অক্টোবর ২-এ অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরে প্রায় দু`মাস কেটে যাওয়ার পর কেন গ্রেফতার করা হল সাংবাদিকদের?
আলোক আগরওয়াল আরও বলেন জি-এর এডিটর এবং জিন্দল গ্রুপের মধ্যে কথোপকথনের বাস্তবতা কখনওই অস্বীকার করেনি জি গোষ্ঠী। শুরু থেকেই মামলা সংক্রান্ত সমস্ত বিষয়েই সব সহায়তা করছে জি গোষ্ঠী। এর পরেও এই গ্রেফতার অর্থহীন।
গতকাল রাতে জি নিউজের এডিটর সুধীর চৌধুরী ও জি বিজনেসে-এর এডিটর সমীর আলুওয়ালিয়াকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিস। তার পরেই এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই গ্রেফতারের ঘটনাকে `ভারতের ইতিহাসে কালো দিন` হিসেবে চিহ্নিত করে জি নিউজ কর্তৃপক্ষ। কংগ্রেস সাংসদ নবিন জিন্দলের মালিকানাধীন জিন্দল স্টিল অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড-এর আনা প্রতারণার অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে এই দুই প্রবীণ সাংবাদিককে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিস। যদিও বিষয়টি এখনও বোম্বে হাইকোর্টে বিচারাধীন। তা সত্ত্বেও কীভাবে এই দুই সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জি নিউজের আইনজীবী।