উষ্ণায়নের প্রভাবে গলছে হিমবাহ, নামছে জলস্তর, লাদাখ জুড়ে তীব্র জলসঙ্কট
আবহাওয়া পরিবর্তনের কুপ্রভাবে জর্জরিত লাদাখের বিভিন্ন গ্রাম। একের পর এক হিমবাহ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ায় কমছে জলস্তর। দেখা দিয়েছে তীব্র জলসঙ্কট। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, হিমবাহগুলি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ায় লাদাখের জলস্তর দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থা চলতেথাকলে শীঘ্রই বাজারের কেনা জলের ওপর ভরসা করতে হবে লাদাখের মানুষকে।
আবহাওয়া পরিবর্তনের কুপ্রভাবে জর্জরিত লাদাখের বিভিন্ন গ্রাম। একের পর এক হিমবাহ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ায় কমছে জলস্তর। দেখা দিয়েছে তীব্র জলসঙ্কট। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, হিমবাহগুলি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ায় লাদাখের জলস্তর দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থা চলতেথাকলে শীঘ্রই বাজারের কেনা জলের ওপর ভরসা করতে হবে লাদাখের মানুষকে।
হিমালয়ের কোলে মনোরম এলাকা নিয়ে গড়ে ওঠা লাদাখের সেই চেনা ছবিটা ক্রমশই হারিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় থাকা লাদাখ এখন আবহাওয়া পরিবর্তনের শিকার।
গরমের সময় হিমবাহ গলে যে জল পাওয়া যায় তা দিয়ে প্রায় নব্বই শতাংশ জলের চাহিদা মেটে লাদাখের। কিন্তু হিমালয় সংলগ্ন গ্রামগুলির ছোট ছোট হিমবাহগুলি দ্রত নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই খারদুং লা হিমবাহটি সম্পূর্ণ গলে গিয়েছে
বলে জানাচ্ছেন লের প্রাক্তন প্রশাসনিক কর্তা রাজিন্দর সিং রায়না। লাদাখের তীব্র এই জলসঙ্কটেরমরমিয়ে বেড়েছে কেনা জলের বাজার। রোজকার ব্যবহারের জন্য বাজার থেকে কেনা জলের ওপরই ভরসা করছেন লাদাখের মানুষ।
ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশান দুহাজার সাতে উপগ্রহ মারফত একটি সমীক্ষা চালায় হিমালয়ের ৪৬৬টি হিমবাহের ওপর। ওই সমীক্ষায় দেখা যায় ১৯৬০ পর থেকে লাদাখের হিমবাহগুলির প্রায় ২১% হ্রাস পেয়েছে।
লাদাখের আইসম্যান নামে খ্যাত সিভিল ইঞ্জিনিয়ার চেওয়াং নরফেল সঙ্কট সমাধানের পথ বের করেছেন। তাঁর মতে এই পরিস্থিতির একমাত্র সমাধান নকল হিমবাহ তৈরি করা। উনিশশো সাতাশি সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট বারোটি নকল হিমবাহ তৈরিও
করেছেন তিনি। তবে এই সমস্যা সমাধানে সরকার চূড়ান্ত উদাসীন বলে তাঁর অভিযোগ।
নরফেলের মতে, অবিলম্বে এই কাজে সরকার হস্তক্ষেপ না করলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে। জলসঙ্কটে জেরবার হয়ে অন্য জায়গায় চলে যেতে হবে লাদাখের মানুষকে।