করমুক্তই থাকছে EPF

ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পিছু হঠল কেন্দ্র। লোকসভায় অরুণ জেটলি জানিয়ে দিলেন, ইপিএফের টাকা আগের মতোই করমুক্ত থাকছে।

Updated By: Mar 8, 2016, 07:27 PM IST
করমুক্তই থাকছে EPF

ওয়েব ডেস্ক: ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পিছু হঠল কেন্দ্র। লোকসভায় অরুণ জেটলি জানিয়ে দিলেন, ইপিএফের টাকা আগের মতোই করমুক্ত থাকছে।

প্রভিডেন্ড ফান্ডে জমা টাকা তোলার সময় ৬০ শতাংশের ওপর কর দিতে হবে। বেসরকারি সংস্থার যেসব কর্মীদের মূল বেতন ১৫ হাজার টাকার বেশি তাঁদের ক্ষেত্রে ২০১৬ পয়লা এপ্রিল থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে। বাজেটে অরুণ জেটলির এই প্রস্তাবে ঘরে-বাইরে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে মোদী সরকার।

সরকারের এই যুক্তি মানতে চাননি বিরোধীরা। ইপিএফে কর বসানোর প্রস্তাবের বিরোধিতায় সরব হয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। বিএমএস-সহ নানা শ্রমিক সংগঠনও সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামার হুমকি দেয়। অবসরের পর চাকরিজীবী সাধারণ মানুষের সমস্যাই শুধু নয়। ইপিএফ থেকে সরকার দুবার কর আদায় করতে চাইছে বলেও অভিযোগ করে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন। তাদের যুক্তি ছিল, আয়কর আইনের ৮০সি ধারায় ইপিএফ, জীবন বিমা, পিপিএফ মিলিয়ে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়ে করছাড় মেলে। ফলে কেউ যদি জীবন বিমা, পিপিএফ মিলিয়ে দেড় লক্ষ টাকা জমিয়ে ফেলেন তাহলে ইপিএফে জমানো টাকার ওপর তাঁকে দু-বার কর দিতে হবে।

চাপের মুখে অরুণ জেটলি ঘরোয়া আলোচনায় বিরোধীদের ইঙ্গিত দেন পিএফের মূল টাকায় হাত না দিয়ে শুধুমাত্র সুদের ওপর কর বসানো হবে। রাজস্ব সচিব হাসমুখ আদিয়াও বলেন, প্রভিডেন্ড ফান্ডের ৬০ শতাংশ অর্থ থেকে পাওয়া সুদটুকুই করের আওতায় আসবে। যদিও, এতে মধ্যবিত্তের ক্ষোভের আঁচ কমেনি।

এই পরিস্থিতিতে খোদ প্রধানমন্ত্রী, অরুণ জেটলিকে পিএফে করের সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার কথা বলেন। কারণ, সামনেই পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। কৃষি-গ্রামোন্নয়নে বিপুল বরাদ্দের বাজেটে ভর করে প্রচারে নামতে গিয়ে কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল ইপিএফে করের সিদ্ধান্ত। রাজনৈতিক মহলের মতে শেষপর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর মনে হয়েছে, বছরে ২০০ কোটি টাকা বাড়তি আয়ের জন্য মধ্যবিত্তকে চটান বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। তাই, ভোটের আগে সবদিক বিচার করে আপতত ইপিএফে করের প্রস্তাব থেকে সরে এল কেন্দ্র।

বাজেট বিতর্কে জবাবী ভাষণের আগেই লোকসভায় সেকথা জানিয়ে দিলেন অরুণ জেটলি। ন্যাশনাল পেনশন স্কিমের ৬০ শতাংশ টাকা বাজেট প্রস্তাব অনুযায়ী করযোগ্য থাকছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

.