মানিক সরকারের কনভয়ে হামলা-ভাঙচুর, অভিযোগের তির বিজেপির দিকে
হামলার পেছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে দাবি করেছে সিপিএম
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভরসন্ধেয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর গাড়িতে হামলা। রেহাই পেলেন না অন্য দলের এক বরিষ্ঠ নেতাও।
শুক্রবার সন্ধেয় ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের কনভয়ে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। এদিন তিনি দলের এক বৈঠকে যোগ দিয়ে ফিরছিলেন। আগরতলা থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে সিপাহিজেলার রাষ্ট্রমাতায় তাঁর কনভয় পৌংছলে তাতে হামলা চালানো হয়। ভেঙে দেওয়া হয় তাঁর গাড়ি কাচ। ভাঙা হয় দলের নেতা নারায়ণ চৌধুরির গাড়িও।
Tripura: Vehicle of CPM MLA Narayan Choudhury was allegedly vandalised by miscreants y'day following a ruckus which ensued while former CM Manik Sarkar was speaking at CPM meeting in Sepahijala's Bishalgarh Office Tilla. Addl police force was deputed outside office following it. pic.twitter.com/qYNef3R1dX
— ANI (@ANI) November 16, 2018
আরও পড়ুন-নবান্নের সিবিআই 'অনুমতি' বিজ্ঞপ্তিতে মমতাকে তোপ বিরোধী নেতাদের
হামলার পেছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে দাবি করেছে সিপিএম। দলের পক্ষ থেকে এই হামলাকে ফ্যাসিস্ত বলে বর্ণনা করেছে। হামলার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে চলে আসে পুলিস। সেখান থেকে মানিক সরকার, নারায়ণ চৌধুরি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রি ভানুলাল সাহা, বিধায়ক শ্যামল চক্রবর্তি, প্রাক্তন মন্ত্রী শাহিদ চৌধুরিকে উদ্ধার করে নিয়ে য়ায় পুলিস।
পুলিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিশালগড় পার্টি অফিসে এদিন দুপুরে একটি মিটিং ছিল। ওই মিটিং শেষ হওয়ার পর মানিক সরকার সহ অন্যান্য নেতারা আগরতলা ফিরছিলেন। পথে তাদের ওপরে হামলা করা হয়।
আরও পড়ুন-সরকারের অনুমতি ছাড়া রাজ্যে ঢুকতে পারবে না সিবিআই, বিজ্ঞপ্তি জারি নবান্নের
হামলায় নারায়ণ চৌধুরির দুই সঙ্গী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিস। মানিক সরকার কনভয়ের কিছু গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিস। তবে সিপিএমের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে হামলার পেছনে রয়েছে বিজেপির মদতপুষ্ট গুন্ডারা।
সিপিএমের রাজ্য অফিস বেয়ারার রাখাল মজুমদার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মানিক সরকার নভেম্বর বিপ্লবের অনুষ্ঠান নিয়ে এক বৈঠক শেষ করে ফিরছিলেন। ওই বৈঠকে প্রধান বক্তা ছিলেন মানিক। অনুষ্ঠান শুরুর আগে হলের সামনে জড়ো হন বেশকিছু বিজেপি সমর্থক। বৈঠকে যোগদানকারীদের অনুষ্ঠানে আসতে বাধা দেওয়া হয়। এরপর বৈঠক শেষ হলে দলের নেতাদের ওপরে হামলা করা হয়।