নিজস্ব প্রতিবেদন: সোমবার থেকে শুরু লকডাউন ৫.০। তবে তা কনটেনমেন্ট এলাকার জন্য। অর্থাত্ দেশের বাকি অংশে ধীরে ধীরে খুলবে সবকিছু। কাজকর্ম শুরু হবে পুরোদমে। এর মধ্যেই ঘরে ফিরেছেন লাখ লাখ পরিযায়ী শ্রমিক ও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত আটকে থাকা মানুষজন। দেখা যাচ্ছে, ভিন রাজ্য থেকে মানুষজন ঘরে ফেরা শুরু করতেই লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। লকডাউন ৪ থেকেই শুরু হয়ে গেল এই প্রবণতা। কিন্তু তার থেকেও  বেশি আতঙ্কের কথা বলছেন এক বিশেষজ্ঞ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ফের তৈরি হল শক্তিশালী নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিয়ে আছড়ে পড়তে পারে ২ রাজ্যে


বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরো সায়েন্সের(নিমহ্যান্স) প্রধান ডা ভি রবি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, দেশে করোনার দাপট এখনও দেখা যায়নি। করোনার সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়তে শুরু করবে জুন থেকে। তার পর গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হবে।


ডা ভি রবির দাবি, এ বছর ডিসেম্বরের শেষে দেশের অর্ধেক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়বেন। এদের ৯০ শতাংশ জানতেই পারবেন না যে তিনি করোনায় আক্রান্ত। এদের মধ্যে হয়তো ৫-১০ শতাংশ মানুষের অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়বে। মাত্র ৫ শতাংশের ভেন্টিলেটরের দরকার হবে।


করোনা মোকাবিলায় কর্ণাটক সরকার যে টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে তার দায়িত্বে রয়েছেন ডা ভি রবি। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে রবি বলেন, রাজ্য সরকারগুলিকে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নত করার জন্য বরাদ্দ বাড়াতে হবে।



উল্লেখ্য, দেশে করোনা মোকাবিলায় ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর-এর নির্দেশিকা হল প্রতিটি রাজ্যকে অন্তত ২টি  কোভিড পরীক্ষার ল্যাবরেটরি তৈরি করতে হবে। কর্ণাটক দেশের এমন একটি রাজ্যে যেখানে ইতিমধ্যেই ৬০টি কোভিড পরীক্ষার ল্যাব তৈরি হয়ে গিয়েছে। ওইসব ল্যাব রাজ্যের ৩০টি জেলার রোগী সামাল দেবে।


আরও পড়ুন-টানা লকডাউনেও বেপরোয়া করোনাভাইরাস, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে আক্রান্ত ৮,৩৮০


করোনায় মৃত্যুর হার সম্পর্কে রবি বলেন, করোনায় মৃত্যুর হার ৩-৪ শতাংশ হতে পারে। গুজরাটে এই হার অবশ্য একটু বেশি, ৬ শতাংশ। টিকার জন্য আমাদের আগামী বছর মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। করোনাকে সঙ্গে নিয়েই মানুষকে বাঁচতে শিখতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে। ইবোলা, মার্স, সার্সের মতো প্রাণঘাতী নয় করোনাভাইরাস।