নিজস্ব প্রতিবেদন:  উঠে যাচ্ছে ভতুর্কি। সংসদের ক্যান্টিনে এবার পুরো দাম দিয়েই খাবার খেতে হবে সাংসদদের। বৃহস্পতিবার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার পরামর্শে, সর্বসম্মতিভাবে নেওয়া হয়েছে সিদ্ধান্ত। ফলে সরকারি কোষাগারের সাশ্রয় হবে বছরে ১৭ কোটি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৫ টাকার কফি, ১২ টাকায় ধোসা, ২ টাকায় রুটি খাওয়ার দিন শেষ। এবার ফেলো কড়ি মাখো তেল। সংসদ ক্যান্টিনে ভতুর্কি পুরোপুরি তুলে দিল কেন্দ্র। মূল্যবৃদ্ধি আকাশ ছুঁয়েছে। পেঁয়াজের দামের ঝাঁঝে চোখে জল আম আদমির। তলানিতে আর্থিক বৃদ্ধির হার। দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড়। সরকারকে প্রতিনিয়ত চেপে ধরছে বিরোধীরা। তারমধ্যে অন্তত  একটি বিষয়ে সর্বসম্মত হল  সরকার -বিরোধীপক্ষ। সংসদের ক্যান্টিনে আর ভর্তুকি দেওয়া খাবার খাবেন না তাঁরা। অর্থাত্‍, এবার থেকে সংসদের ক্যান্টিনে উঠে যাচ্ছে  ভর্তুকি।অধীর চৌধুরী।বৃহস্পতিবার ছিল সংসদের বিজনেজ অ্যাডসাইসরি কমিটির মিটিং। সেখানেই সব দলের সাংসদরা ভর্তুকি তুলে দেওয়ার পক্ষে মত দেন। এবার থেকে সাংসদ, সংসদে আসা দর্শনার্থী বা সাংবাদিকদের বাজারের দামেই সংসদের ক্যান্টিন থেকে খাবার কিনতে হবে।


লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন,''আমরা কী খেলাম কেউ জানতে পারল না। খবরের কাগজ, টিভিতে বলবে এমপিরা এত খেয়ে নিল সস্তায়। এত টাকা পাচ্ছে! সেই বদনাম নিতে যাব কেন? আমরা প্রস্তাব দিয়েছি, এমপিদের জন্য যেন ১০ পয়সার সাবসিডি না দেওয়া হয়। যা দাম সেই দামেই এমপি-রা খাবে। বাইরে গিয়ে যাতে আমাদের বদনাম নিতে না হয়। কে বলেছে আমার থেকে কম নিতে? এক কাপ চা যা দাম তাতেই খাব।''



২০১৫ সালে সংসদে ক্যান্টিনের ভর্তুকির পরিমাণ নিয়ে শুরু হয় হইচই। সে সময়ই প্রথম জানা যায়, ক্যান্টিনে খাবারের ওপর ৮০ শতাংশ ভতুর্কি দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। চলতি বছরের শুরুর দিকে ক্যান্টিনের খাবারের ওপর ভর্তুকি অনেকটা কমিয়ে দেয় কেন্দ্র। এবার তা পুরোপুরি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হল। ফলে প্রতিবছর সরকারের কোষাগার থেকে ১৭ কোটি টাকা বাঁচবে।


আরও পড়ুন- মাঝারি শিল্পে বাংলা এক নম্বর, দেশে বেকারত্ব বাড়লেও রাজ্যে কমেছে ৪০%: মমতা