‘গুটখা দে’, বচসার জেরে দলিত যুবকের গায়ে আগুন

দলিত ‌যুবক ঘোড়ায় চাপলে উচ্চবর্ণের মানুষদের ক্ষোভ। দলতি ‌যুবক গ্রামের মধ্যে দিয়ে বিয়ে করতে গেলেও ‌যেতে হবে পুলিস প্রহরায়। একের পর এক ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে দেশে কড়া আইন থাকা সত্বেও দলিত নিগ্রহ কমছে না। এবার মাত্র এক প্যাকেট গুটখার জন্য গায়ে আগুন দেওয়া হল এক দলিত ‌যুবককে।

Updated By: Aug 4, 2018, 07:13 PM IST
‘গুটখা দে’, বচসার জেরে দলিত যুবকের গায়ে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদন: দলিত ‌যুবক ঘোড়ায় চাপলে উচ্চবর্ণের মানুষদের ক্ষোভ। দলতি ‌যুবক গ্রামের মধ্যে দিয়ে বিয়ে করতে গেলেও ‌যেতে হবে পুলিস প্রহরায়। একের পর এক ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে দেশে কড়া আইন থাকা সত্বেও দলিত নিগ্রহ কমছে না। এবার মাত্র এক প্যাকেট গুটখার জন্য গায়ে আগুন দেওয়া হল এক দলিত ‌যুবককে।

শুক্রবার মথুরায় ঘটে গেল এক ভয়ঙ্কর ঘটনা। মথুরার সাপোয়া গ্রামে গুটখার ভাগ দেওয়া নিয়ে তুলকালাম। গ্রামেরই এক দোকানে গুটখা কিনতে গিয়েছিল পরদেশি নামে এক দলিত ‌যুবক। গ্রামেরই ঠাকুর সম্প্রদায়ের দুই ‌যুবক সেই গুটখার ভাগ চায়। তা দিতে চাননি ওই দলিত ‌যুবক। তার পরেই ওই কাণ্ড।

আহত দলিত ‌যুবকের দাদা বিশ্বম্ভর পুলিসের কাছে অভি‌যোগে জানিয়েছেন, গ্রামের দোকানেই কিছু জিনিস কিনতে গিয়েছিল ভাই পরদেশি। সেখানে অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে সে এক প্যাকেট গুটখাও কেনে। দোকানে সে সময় ছিল রাহুল ঠাকুর ও রাজু ঠাকুর নামে দুই ‌যুবক। তারাও গ্রামেরই। তারা ওই গুটখার প্যাকেট ভাইয়ের কাছ থেকে চায়। পরদেশি তা দিতে না চাইলে প্রথমে প্রবল মারধর করা হয়। পরে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন-বিহারের মেয়ে-বরাহনগরের ছেলে, নাছোড় প্রেমের কাছে হার মানল জাতপাতের চোখরাঙানি

পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দোকানদার ও দোকানে আসা লোকজন কোনওক্রমে আগুন নিভিয়ে ফেলে। তারাই পরদেশিকে হাসপাতালে নিয়ে ‌যায়। মথুরা পুলিস স্টেশনের সার্কেল অফিসার বিনয় চাউনা সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, অভি‌যুক্তদের গ্রেফতারের জন্য একটি পুলিস টিম গঠন করা হয়েছে।

এদিকে, পুলিসের ধারনা পরদেশি নিজেই নিজের গায়ে আগুন দিয়েছে। গুটখা নিয়ে বাকবিতণ্ডার পর ওই দুই ঠাকুর ‌যুবক পরদেশিকে থাপ্পড় কষিয়ে দেয়। তার পরেই সে দৌড়ে বাড়ি গিয়ে কেরোসিন নিয়ে দোকানে ফিরে আসে। তারপর দেহে তা ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়।

আরও পড়ুন-বর্ষার দাপট বাড়তেই ডেঙ্গি ফিরল বঙ্গে

ঘটনার তদন্তে দায়িত্বে থাকা এসএইচও উদয়বীর সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, সবদিক থেকেই ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কোনও সন্দেহই উড়িয়ে দেওয়া ‌যাচ্ছে না। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীকে আটক করা হয়েছে। এদের জেরা করে দেখা হচ্ছে পরদেশির দাদার বয়ানে কোনও অসঙ্গিত রয়েছে কিনা।

উল্লেখ্য, গত মাসেই উত্তরপ্রদেশের একটি জায়গায় পুলিস প্রহরায় বিয়ে করতে গেলেন এক দলিত ‌যুবক। সেখানে ঠাকুর অধ্যুসিত গ্রামের মধ্যে দিয়ে গত কয়েক দশক কেউ বর‌যাত্রী নিয়ে ‌যায়নি। গত মাসেই গুজরাটে এক দলিত ‌যুবককে কারখানার মধ্যে পিটিয়ে মারা হয়। এবছরই ঘোড়ায় চেপে ঘোরার অপরাধে এক দলিত ‌যুবককে বেধড়ক পেটানো হয় গুজরাতে।

.