কন্যভ্রূণ হত্যার জের, হরিয়ানা-উত্তরপ্রদেশে কমেছে মহিলার অনুপাত, এরাজ্য থেকে পাচার হচ্ছে বিয়ের পাত্রী
হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ ও পঞ্জাবে কন্যাভ্রুণ হত্যা বাড়ায় পুরুষের অনুপাতে মহিলার সংখ্যা ক্রমশ কমছে। ফলে বিয়ের জন্য পাত্রীর অভাব দেখা দিচ্ছে। তার জন্যই পশ্চিমবঙ্গ থেকে কম বয়সী মেয়েদের টোপ দিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে । ক্রমশ জোরালো হচ্ছে ওই অভিযোগ। সম্প্রতি এরাজ্য থেকে পাচার হওয়া এমনই দুই তরুণীকে উদ্ধার করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিস।
ব্যুরো: হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ ও পঞ্জাবে কন্যাভ্রুণ হত্যা বাড়ায় পুরুষের অনুপাতে মহিলার সংখ্যা ক্রমশ কমছে। ফলে বিয়ের জন্য পাত্রীর অভাব দেখা দিচ্ছে। তার জন্যই পশ্চিমবঙ্গ থেকে কম বয়সী মেয়েদের টোপ দিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে । ক্রমশ জোরালো হচ্ছে ওই অভিযোগ। সম্প্রতি এরাজ্য থেকে পাচার হওয়া এমনই দুই তরুণীকে উদ্ধার করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিস।
প্রথমে টেলিফোনে প্রেমালাপ। তারপর ভুয়ো পরিচয় দিয়ে বিয়ে করে সেই মেয়েকে নিয়ে উত্তর ভারতে গিয়ে অন্য এক এজেন্টকে বিক্রি করে দেওয়া। এটাই ছিল হাসনাবাদের আখতার নামে এক যুবকের কাজ। তার সঙ্গী ছিল জইদুল। সেভাবেই বিভিন্ন এজেন্ট মারফত উত্তর চব্বিশপরগনার হাসনাবাদ থেকে দুই কিশোরীকে উত্তরপ্রদেশের খাটানে গ্রামে বিক্রি করে দিয়েছিল জইদুল। বিনিময়ে মিলেছিল সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা।
ক্রেতা সঞ্জুর দাবি, তাঁর জন্য পাত্রীর সন্ধান করছিলেন তাঁর মা। সেসময় বাসন্তীদেবী নামে গ্রামেরই এক বৃদ্ধা সঞ্জুর মায়ের কাছে একটি মেয়ের খোঁজ নিয়ে আসেন। বিনিময়ে দাবি করেন পঁচিশ হাজার টাকা।
একই ভাবে পঞ্চাশ হাজার টাকার বিনিময়ে যোগেশ নামে এক এজেন্টের থেকে আরও এক কিশোরীকে কিনেছিলেন টিনু।
তবে সঞ্জুর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাসন্তী। উল্টে তাঁর অভিযোগ, সঞ্জুই তাঁর কাছে ওই মেয়েটিকে বিক্রি করেছিল পঁচিশ হাজার টাকায়।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। হাসনাবাদ থানার আইসি জানিয়েছেন, থানায় অভিযোগ পাওয়ার পর প্রথমে টেলিফোন টাওয়ারের লোকেশন চিহ্নিত করা হয়। তারপর অভিযান চালিয়ে দুই কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিস।
এরাজ্য থেকে মেয়ে পাচার রুখতে সক্রিয় শান্তি বাহিনী নামে দিল্লির একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন। দুই কিশোরীকে উদ্ধারের ক্ষেত্রেও তাদের ভূমিকা রয়েছে। এপ্রসঙ্গে রাজ্যসরকার ও রাজ্য পুলিসের ভূয়সী প্রশংসা করা হয় সংগঠনের তরফে।