গোয়ায় বিজেপির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা
মঙ্গলবার বেলা গড়াতেই ছবিটা ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। বিকেলে সরকারিভাবে ফল ঘোষণার পর নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে গোয়াতে সরকার গঠনের তত্পরতা শুরু হল বিজেপি-মহারাষ্ট্রওয়াড়ি গোমন্তক পার্টি জোটে।
মঙ্গলবার বেলা গড়াতেই ছবিটা ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। বিকেলে সরকারিভাবে ফল ঘোষণার পর নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে গোয়াতে সরকার গঠনের তত্পরতা শুরু হল বিজেপি-মহারাষ্ট্রওয়াড়ি গোমন্তক পার্টি জোটে। বিধানসভার ৪০ টি আসনের মধ্যে ২২ টি আসনে জিতেছেন বিজেপি প্রার্থীরা। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য প্রয়োজন ছিল ২১ টি আসন। বিজেপি'র জোট সঙ্গী এমজিপি জয় পেয়েছে ২টি কেন্দ্রে। অন্যদিকে কংগ্রেসের দখলে রয়েছে ৯ টি আসন। ইউজিডিপি ২ এবং নির্দল ও অন্যান্যরা পেয়েছে ৫ টি আসন।
মুখ্যমন্ত্রী পদের দৌড়ে সব থেকে এগিয়ে রয়েছেন মনোহর পারিকর। পানাজি কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছেন তিনি। গত নির্বাচনে জোটসঙ্গী এনসিপিকে সঙ্গে নিয়ে গোয়ায় ১৯ টি আসনে জিতেছিল কংগ্রেস। যা এবার কমে অর্ধেকের কাছাকাছি দাঁড়িয়েছে। মারগাও কেন্দ্র থেকে মুখ্যমন্ত্রী দিগম্বর কামাথ এবং পরিয়েম থেকে বিধানসভার স্পিকার প্রতাপসিং রানে জিতলেও নভেলিমে পরাজিত হয়েছেন চার্চিল অ্যালামাও। হেরেছেন, প্রাক্তন কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী রবি নায়েক (পোন্ডা) এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সুভাষ শিরোদকর (সিরোদা)-ও।
অন্যদিকে নিজেদের শক্তি বাড়িয়েছে বিজেপি। ক্ষমতা ধরে রেখেছে মহারাষ্ট্রওয়াড়ি গোমন্তক পার্টিও। গতবার বিধানসভা নির্বাচনের পর দীলিপ ধবলিকরের দল কংগ্রেসের হাত ধরলেও, এবার লড়াই করে বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে। অন্যদিকে বিধানসভা ভোটের আগে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উইলফ্রেড ডি সুজা'কে দলে টেনে গোয়ায় ২০টি আসনে প্রার্থী শূন্যই থেকে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাঁড়ার।