Gujarat Assembly Election Result 2022: গুজরাতে হেরে দলের অন্দরেই চাপে গেহলোত, শচীন পাইলটের সঙ্গে হচ্ছে তুলনা; কিন্তু কেন?
Sachin Pilot Ashok Gehlot: হিমাচলের জয়ের জন্য প্রশংসিত হচ্ছেন কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট। কংগ্রেস, শচীন পাইলটকে হিমাচলের পর্যবেক্ষক বানিয়েছিল। অন্যদিকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোত গুজরাতে পরাজয়ের জন্য সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বৃহস্পতিবার গুজরাত এবং হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে কংগ্রেসকে গুজরাতে পরাজয়ের মুখে পড়তে হলেও, হিমাচলে তারা ক্ষমতায় ফিরেছে। হিমাচল রাজ্যে কংগ্রেসের জয়ের জন্য প্রশংসিত হচ্ছেন কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট। কংগ্রেস শচীন পাইলটকে হিমাচলের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছিল। অন্যদিকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোত গুজরাতে পরাজয়ের জন্য সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন। তিনি গুজরাতের পর্যবেক্ষক ছিলেন।
এই নিয়ে ট্যুইট করেছেন কংগ্রেস নেতা আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণম। ইশারায় অশোক গেহলোতকে নিশানা করেছেন তিনি। প্রমোদ কৃষ্ণম লিখেছেন, যুব নেতা শচীন পাইলট হিমাচলের পর্যবেক্ষক ছিলেন। অশোক গেহলোত গুজরাটের। এরপরে আমার কিছু বলার নেই। আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণম এর আগেও শচীন পাইলট এবং অশোক গেহলোতকে নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। তাঁর সাম্প্রতিক বক্তব্য ফের আলোড়ন সৃষ্টি করেছে রাজস্থানের রাজনীতিতে।
হিমাচলে নির্বাচনের সময় বয়ান দেন তিনি
কংগ্রেস নেতা আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণম ১২ নভেম্বর হিমাচলের ভোটের সময়ও এই সংক্রান্ত একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। তিনি বলেন যে দলের রাজস্থান ইউনিটে বড় পরিবর্তন হতে চলেছে। আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণম প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে বিধানসভার স্পিকার সিপি জোশীর সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। এরপর তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, শীঘ্রই রাজস্থান নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কংগ্রেস হাইকমান্ড।
আরও পড়ুন: Gujarat Assembly Election Result 2022: 'গেরুয়া' গুজরাতে মোদীই ভাঙলেন মোদীর রেকর্ড
রাজ্যের মানুষের অনুভূতি বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন যে কংগ্রেসের প্রতিটি বিধায়ক নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে সমর্থন করবেন। প্রত্যেক বিধায়ক দলীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন।
গুজরাতে হারলেও হিমাচলে জয় পেল কংগ্রেস
গুজরাত নির্বাচন কংগ্রেসের জন্য হতাশাজনক ছিল। মাত্র ১৭টি আসন পেয়েছে তারা। সেখানে বিজেপির খাতায় রয়েছে ১৫৬টি আসন। টানা সপ্তমবার এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসছে বিজেপি। গুজরাতের ১৮২টি আসনের মধ্যে বিজেপি ১৫৬টি আসন পেয়েছে। মোট ভোট শতাংশে বিজেপির কাছে রয়েছে প্রায় ৫৩ শতাংশ। এর আগে ১৯৮৫ সালে, মাধব সিং সোলাঙ্কি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সময় কংগ্রেস রাজ্যে ১৪৯টি আসন জিতে রেকর্ড তৈরি করেছিল।
অন্যদিকে হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেসের জন্য ফলাফল দর্শনীয় হয়েছে। তারা এই রাজ্যে ৪০টি আসন পেয়েছে। একই সঙ্গে বিজেপির খাতায় যেতে পারে ২৫টি আসন। হিমাচলের সরকার প্রতি পাঁচ বছর পর পর পরিবর্তন হয় এবং মানুষ এবারও তাই করেছে।