গুরদাসপুর-উধমপুর হামলা এক সুতোয় গাঁথা, অনুমান গোয়েন্দাদের
কাশ্মীর উপত্যকার পাশাপাশি জম্মু ও সীমান্তবর্তী পঞ্জাবে ছায়াযুদ্ধের নতুন ফ্রন্ট খোলার চেষ্টায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। গুরদাসপুরে জঙ্গি হানার পরে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল তাই সত্যি হল
উধমপুরের হামলায়। দুই হামলায় একই সুতোয় গাথা। অনুমান গোয়েন্দাদের।
নিয়ন্ত্রণ রেখায় সংঘর্ষবিরিত লঙ্ঘন, গুরদাসপুরে জঙ্গি হানা ও উধমপুরে বুধবারের জঙ্গি হামলা। এসবই বড় নাশকতার ছকেরই অঙ্গ। দাবি গোয়েন্দাদের। গুরদাসপুরের সঙ্গে উধমপুরের হামলার একের
পর এক যোগসূত্র খুঁজে পাচ্ছেন গোয়েন্দারা।
জানা যাচ্ছে উধমপুরে ধৃত জঙ্গি ফয়জালাবাদ থেকে এসেছে। গুরদাসপুরে উদ্ধার GPS-এও ছিল ফয়জালাবাদ লিঙ্ক। দুটি হামলার ক্ষেত্রেই জঙ্গিদের পরনে ছিল সেনার পোশাক। উধমপুর ও
গুরদাসপুরের মধ্যে সড়কপথে দূরত্ব মাত্র একশ ষাট কিলোমিটার। দুই জায়গাতেই অতীতে কোনও জঙ্গি হানা হয়নি। দুটি হামলাই হয়েছে জাতীয় সড়কের কাছে। উধমপুর হামলায় ধৃত জঙ্গি জানিয়েছে
বারো দিন আগে সে ভারতে ঢুকেছিল। অর্থাত্ গুরদাসপুর হামলার আগেই এদেশে ঢোকে উধমপুরের হামলাকারীরা।
ওসমান পাকিস্তানি নাগরিক এ তথ্য নিজেই স্বীকার করে নিয়েছে। কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে সে জড়িত কি না সে বিষয়ে মুখ খোলেনি। গোয়েন্দাদের অনুমান উধমপুরেও রয়েছে লস্করের হাত।
ওসমান সম্ভবত লস্কর জঙ্গি। গুরদাসপুর হামলার সাতদিন পার হতে না হতেই জঙ্গি নাশকতায় রক্তাক্ত উপত্যকার মাটি। গোয়েন্দাদের একাংশের মতে আসলে বেশকয়েকটি দলে ভাগ হয়ে ছড়িয়ে
পড়েছে সীমান্ত পেরিয়ে আসা জঙ্গিরা। ভারতে ঢুকে পড়া জঙ্গিরা ওঁত পেতে রয়েছে। হয়তো বা পরিকল্পনা মাফিক ছক সাজাচ্ছে। গুরদাসপুর, উধমপুরের পর জঙ্গি নিশানায় কী? কপালে ভাঁজ
গোয়েন্দাদের।