চাপে পড়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ যোগীর! জেলাশাসককে বরখাস্তের দাবি নির্যাতিতার পরিবারের
সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের হাতের সামনে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন- মেয়েকে হারানোর শোকে কাতর হাথরসে নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন। তার মধ্যে নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন তাঁরা। পুলিস থেকে শুরু করে জেলাশাসক সবাই বলছে, মুখ বন্ধ রাখতে! নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁদের নজরবন্দী করে রাখা হয়েছে। বাথরুম যেতে হলেও পুলিসের অনুমতি নিতে হচ্ছে তাঁদের। চার দিন ধরে গ্রামে ১৪৪ ধারা জারি করে রেখেছে প্রশাসন। গোটা গ্রাম এবং নির্যাতিতার বাড়ি ঘিরে রেখেছে বিশাল পুলিসবাহিনী। তবে এসবের মাঝেই শনিবার সংবাদমাধ্যমকে নির্যাতিতার গ্রাম বুল গহরীতে ঢোকার অনুমতি দিয়েছে যোগীর পুলিস-প্রশাসন।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের হাতের সামনে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা। গত কয়েকদিন ধরে পুলিস ও প্রশাসন যেভাবে তাঁদের উপর অন্যায় অবিচার করে চলেছে, তার বর্ণনা দিতে শুরু করেন তাঁরা। নির্যাতিতার ভাই বলে দাবি করা এক যুবক জানান, তাঁর কাকার বুকে লাথি মেরেছেন জেলাশাসক। সেই কাকা এমনিতেই অসুস্থ ছিলেন। জেলাশাসকের মারধরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। এদিকে চাপের মুখে পড়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ হাথরস কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন বলছেন, তাঁরা আর পুলিস প্রশাসনের ওপর বিশ্বাস রাখতে পারছেন না। কারণ ন্যায় বিচারের কথা কেউ বলছেন না। যে-ই আসছেন, রাজনীতি করছেন।
আরও পড়ুন- হুমকি দিচ্ছে যোগীর পুলিস, হাথরসে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে কী বললেন রাহুল!
এদিন রাহুল, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করার পরই যোগী আদিত্যনাথ সিবিআই নির্দেশের দিয়েছেন। তবে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা কিন্তু উত্তরপ্রদেশের প্রশাসনকে তুলোধনা করতে ছাড়েননি। যোগী আদিত্যনাথ অবশ্য ইতিমধ্যে জোর গলায় বলেছেন, কোনোভাবেই অভিযুক্তদের রেয়াত করা হবে না। আর তারপরই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যদিও নির্যাতিতার পরিবারের তরফে অবিলম্বে জেলাশাসককে বরখাস্ত করার দাবি তোলা হয়েছে। এমনকী পুলিস যে তাদের ওপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালাচ্ছে তার অভিযোগও করা হয়েছে। হাথরসের এসপির অপসারণ দাবি করেছে নির্যাতিতার পরিবার।