হুমকি দিচ্ছে যোগীর পুলিস, হাথরসে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে কী বললেন রাহুল!

মঙ্গলবার রাহুল গান্ধীর হাথরসে যাওয়ার চেষ্টা ভেস্তে দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিস। তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিসের বিরুদ্ধে

Edited By: সিকান্দর আবু জ়াফর | Updated By: Oct 3, 2020, 09:20 PM IST
হুমকি দিচ্ছে যোগীর পুলিস, হাথরসে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে কী বললেন রাহুল!
ছবি-টুইটার

নিজস্ব প্রতিবেদন: উত্তরপ্রদেশ পুলিসের সঙ্গে একপ্রকার যুদ্ধে জিতে হাথরসে নির্যাতিতা দলিত তরুণীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন রাহুল গান্ধী। প্রিয়ঙ্কা গান্ধী-সহ তাঁর সঙ্গে এদিন হাথরসের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন কংগ্রেসের ২০ সাংসদ। তবে সবাই উত্তরপ্রদেশ ঢোকার অনুমতি পাননি। বহু টালবাহানার পর রাহুলকে নির্যাতিতার বুল গহড়ী গ্রামে যেতে অনুমতি দেয় যোগী প্রশাসন।

আরও পড়ুন-রাহুল গান্ধী-সহ কংগ্রেসের ৫ প্রতিনিধিকে হাথরসে যাওয়ার অনুমতি যোগী সরকারের   

পরিবারের সঙ্গে দেখা করে রাহুল গান্ধী বলেন, কোনও শক্তি আমাদের রুখতে পারবে না। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে রয়েছি। তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের।  অন্যদিকে, প্রিয়ঙ্কা বলেন, যেখানে অন্যায় হবে সেখানেই যাব। কেউ বাধা দিতে পারবে না।

প্রসঙ্গত, মেয়েকে হারিয়ে এখন নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে হাথরাসে নির্যাতিতার পরিবার। অভিযোগ, খোদ জেলাশাসক নাকি নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে তাদের মুখ বন্ধ রাখতে বলেছেন। পরিবারের লোকজনকে নাকি লাথিও মেরেছেন।  

মঙ্গলবার রাহুল গান্ধীর হাথরসে যাওয়ার চেষ্টা ভেস্তে দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিস। তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিসের বিরুদ্ধে। তবে শনিবার প্রিয়ঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি পৌঁছে যান সেখানে। ১৪৪ ধারার মধ্যেই সেখান যান রাহুল। পরিস্থিতি আয়ত্ব রাখতে বিরাট পুলিস বাহিনী মোতায়েন করে জেলা প্রশাসন।

আরও পড়ুন-হাথরস-কাণ্ডের প্রতিবাদে টর্চ হাতেই বিক্ষোভ-মঞ্চে মমতা!

শনিবার দুপুরে  ৩৫ জন নেতা-সাংসদদের নিয়ে ২০০ কিলোমিটার দূরে হাথরসের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন রাহুল। দিল্লি-নয়ডা সীমান্তে তাদের আটকায় পুলিস। শেষপর্যন্ত রাহুল, প্রিয়ঙ্কা ও কয়েকজন কংগ্রেস নেতার উত্তরপ্রদেশে ঢোকার অনুমতি মেলে। তাঁরা সেখানে পৌঁছান সন্ধে নাগাদ।

উল্লেখ্, গত মঙ্গলবার দিল্লির সফদর জং হাসপাতালে মৃত্যু হয় হাথরসের ওই দলিত তরুণীর। অভিযোগ, ১৪ সেপ্টেম্বর মাঠে কাজ করার সময় তাকে ধর্ষণ ও প্রবল মারধর করা হয়। প্রথমে আলিগড় ও পরে চিকিত্সার জন্য দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানেই ১৫ দিন লড়াইয়ের পর মৃত্যু হয় ওই তরুণীর।

.