শিনা বরা হত্যাকাণ্ড: দিদিকে খুনের দিন ছিলেন মুম্বইতে, মায়ের টার্গেট ছিলেন তিনিও, দাবি মিখাইলের
শিনা বরা হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। খুনের দিন তিনি মুম্বইতেই ছিলেন বলে পুলিসকে জানালেন শিনার ভাই মিখাইল বরা। মা ইন্দ্রাণী মুখার্জির পরের টার্গেট তিনি ছিলেন বলেও মিখাইলের অভিযোগ। কিন্তু, তাই যদি হয় তা হলে তিনি এতদিন কেন চুপ করে ছিলেন? গোটা ঘটনায় মিখাইলের ভূমিকাও সন্দেহের উর্ধ্বে নয়। টাকার দরকার ছিল। তাই, মায়ের শর্ত মেনে মা-কে দিদি বলতে রাজি হন। শিনার মৃত্যু রহস্যের সমাধানে কাজে লাগবে এমন নানা প্রমাণ তাঁর কাছে আছে। সে সবই তিনি পুলিসকে দেবেন। বুধবারই শিনার ভাই মিখাইল এ কথা বলেন। তিনি মুম্বই পুলিসকে কী তথ্য দিয়েছেন?
ব্যুরো: শিনা বরা হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। খুনের দিন তিনি মুম্বইতেই ছিলেন বলে পুলিসকে জানালেন শিনার ভাই মিখাইল বরা। মা ইন্দ্রাণী মুখার্জির পরের টার্গেট তিনি ছিলেন বলেও মিখাইলের অভিযোগ। কিন্তু, তাই যদি হয় তা হলে তিনি এতদিন কেন চুপ করে ছিলেন? গোটা ঘটনায় মিখাইলের ভূমিকাও সন্দেহের উর্ধ্বে নয়। টাকার দরকার ছিল। তাই, মায়ের শর্ত মেনে মা-কে দিদি বলতে রাজি হন। শিনার মৃত্যু রহস্যের সমাধানে কাজে লাগবে এমন নানা প্রমাণ তাঁর কাছে আছে। সে সবই তিনি পুলিসকে দেবেন। বুধবারই শিনার ভাই মিখাইল এ কথা বলেন। তিনি মুম্বই পুলিসকে কী তথ্য দিয়েছেন?
সূত্রের খবর, মিখাইলের দাবি, ২০১২ সালের ২৪ এপ্রিল শিনার খুনের দিন তিনি মুম্বইয়ের ওরলির হোটেলে ছিলেন। শিনা-রাহুলের এনগেজমেন্ট ও সম্পত্তি নিয়ে কথা বলতে মা ইন্দ্রাণী মুখার্জি তাঁকে ডেকে পাঠান। একই হোটেলে সত্ বাবা সঞ্জীব খান্না থাকলেও মিখাইল তা জানতেন না। ওইদিন তাঁকে ঘুমের ওষুধ মেশানো পানীয় দেওয়া হয়। সেটা খেয়ে তিনি আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। তারপর কোনওরকমে হোটেল থেকে পালিয়ে যান। শিনার মতো তাঁকেও খুনের চক্রান্ত করা হয় বলে মিখাইলের দাবি।
আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন।
খুনের চক্রান্তের কথা টের পেয়েও মিখাইল এতদিন কেন মুখ খোলেননি? কেন যাননি পুলিসের কাছে? ওরলির হোটেল থেকে পালিয়ে তিনি কোথায় যান তাও স্পষ্ট নয়। মায়ের ওপর যখন ভরসা নেই, তখন শুধুমাত্র সেই মায়ের কথায় বিশ্বাস করে মিখাইল কেন বোনের খোঁজ নেওয়া ছেড়ে দিলেন? শিনা সত্যিই আমেরিকায় আছে কিনা জানার চেষ্টা করলেন না? শিনার প্রেমিক রাহুলের সঙ্গেও এ নিয়ে কথা বললেন না? গত বছর থেকে ইন্দ্রাণী ছেলেকে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দেন। তারপরও এতদিন কেন মিখাইল মায়ের বিরুদ্ধে মুখ খোলেননি?
মায়ের সঙ্গে বাদানুবাদের কথা জানিয়ে মিখাইল পুলিসকে এ সংক্রান্ত ই-মেল, অডিও টেপ দিয়েছেন।
মিখাইলের রগচটা স্বভাব বলে জানাচ্ছেন তাঁর পরিচিতরা। ২০১২ সালে তাঁর একাধিক ফেসবুক পোস্টেও হতাশার ইঙ্গিত মিলেছে। মিখাইলের যা স্বভাব তাতে তিন বছর মুখে আঙুল দিয়ে থাকা তাঁর পক্ষে খুবই অস্বাভাবিক বলে তদন্তকারীদের ধারণা। প্রশ্ন উঠছে,
ইন্দ্রাণী গত বছর থেকে মিখাইলকে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিলেন কেন? মায়ের কাছ থেকে টাকা আসছে না। চাকরিও ছেড়ে দিয়েছেন। এরপরও মিখাইল কী ভাবে বিলাসী জীবন কাটাতেন? মা ইন্দ্রাণীকেই কি পাল্টা ব্ল্যাকমেল করছিলেন তিনি?
শিনার মৃত্যুর তেরোদিন পর অফিসে তাঁর রেজিগনেশন লেটার গিয়েছিল। এক আত্মীয়র দাবি, মিখাইলই সেই চিঠি লিখে দেন। ফলে, গোটা ঘটনায় মিখাইলের ভূমিকা মোটেই সন্দেহের উর্ধ্বে নয়। কারণ, সরাসরি অপরাধ করার মতোই অপরাধের কথা চেপে যাওয়াও অপরাধ। রহস্য সমাধানে মিখাইলের দেওয়া নথি, ওরলির হোটেলের রেকর্ড সবই খতিয়ে দেখছে পুলিস।