Narendrapur: আর কোনও উপায় নেই! শিরাকাটা হাত নিয়েই দরজা খুলে তরুণী বলল...

Narendrapur Suicide Case: বুধবার রাতে জলি রায়ের বোন তাঁর দিদিকে ফোন করে। বোনকে বাড়িতে আসতে বলেন জলি। দিদির কথামতো বৃহস্পতিবার সকালে জলির বোন বাড়িতে এসে দেখেন, বাড়ির দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকির পর হাতের শিরাকাটা অবস্থায় বেরিয়ে এসে বোনঝি বলল...

Updated By: Dec 12, 2024, 06:00 PM IST
Narendrapur: আর কোনও উপায় নেই! শিরাকাটা হাত নিয়েই দরজা খুলে তরুণী বলল...

তথাগত চক্রবর্তী: আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা একই পরিবারের তিনজনের। হাড়হিম করা এই কাণ্ডে মৃত এক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি ২ জন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস। বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সুইসাইড নোটও। কিন্তু কেন একসঙ্গে পরিবারের সকলে নিলেন এই চরম সিদ্ধান্ত?

আরও পড়ুন- Vikram Misri on Sheikh Hasina: 'হাসিনার মন্তব্যকে সমর্থন করে না ভারত', ঢাকা থেকে ফিরেই সাফ জানালেন বিদেশ সচিব...

জানা যায়, আর্থিক অনটনে জেরবার গোটা পরিবার। উপায় না দেখেই এই সিদ্ধান্ত। নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের লস্করপুর এলাকায় থাকতেন দীপক রায়- বয়স ৬৩ বছর, স্ত্রী জলি রায়, তাঁর বয়স ৫৫ বছর ও মেয়ে দিশারী রায়, বয়স ২৩। দীপক রায়ের নিজের বাড়ি হাবড়ায়। কিন্তু তিনি ঘর জামাই হিসেবে নরেন্দ্রপুরের এই বাড়িতেই থাকতেন। 

দীপক রায় আগে চাকরি করতেন। তিনি ছিলেন মেডিক্যাল রিপ্রেজেনটেটিভ। কিন্তু বিশেষ আয় ছিল না তাঁর। পরবর্তীকালে সেই চাকরিও চলে যায়। এরপর বাড়িতেই মুদির দোকান খোলেন তিনি। কিন্তু সেই দোকানও ভালোভাবে চলছিল না। দোকান চালাতে না পেরে একসময় সেই দোকানও বন্ধ করে দেন। বাড়িতে তিনি একাই রোজগেরে তাই দোকান বন্ধ হওয়ার পর পরিবারের তেমন কোনও আয় ছিল না। এমনকী আর্থিক অনটনের কারণে কলেজে পড়তে পড়তেই পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায় তাঁর মেয়ের। 

আরও পড়ুন- Kangana Ranaut: '৯৯% বিবাহবিচ্ছেদের জন্য দায়ী পুরুষই!', বেঙ্গালুরুর ঘটনায় ফের বিতর্কিত কঙ্গনা

বুধবার রাতে জলি রায়ের বোন তাঁর দিদিকে ফোন করে। জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য বোনকে বাড়িতে আসতে বলেন জলি। দিদির কথামতো বৃহস্পতিবার সকালে জলির বোন বাড়িতে এসে দেখেন, বাড়ির দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকির পর মেয়ে দিশারী দরজা খোলে। তখনই তাঁর মাসি দেখেন যে দিশারীর হাতের শিরাকাটা। দিশারীই তাঁর মাসিকেই জানায় যে তাঁরা সবাই ঘুমের ওষুধ খেয়েছে। সময় নষ্ট না করে তড়িঘড়ি প্রতিবেশীদের ডাকেন জলি রায়ের বোন। এরপর তাঁদের সাহায্যেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় পরিবারের ৩ জনকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে জলি রায়কে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি দীপক রায় ও তাঁর মেয়ে। 

আপনি কি অবসাদগ্রস্ত? বিষণ্ণ? চরম কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার হাত ধরতে তৈরি অনেকেই। কথা বলুন প্লিজ... 
iCALL (সোম-শনি, ১০টা থেকে ৮টা) ৯১৫২৯৮৭৮২১
কলকাতা পুলিস হেল্পলাইন (সকাল ১০টা-রাত ১০টা, ৩৬৫ দিন) ৯০৮৮০৩০৩০৩, ০৩৩-৪০৪৪৭৪৩৭

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.