'কেউ রেললাইনের ওপরে ঘুমিয়ে পড়লে কী করা যাবে!', ঔরঙ্গাবাদের দুর্ঘটনার মামলা খারিজ শীর্ষ আদালতে

পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে শীর্ষ আদালতের আরও মন্তব্য, "কেউ রেললাইন ধরে হাঁটতে শুরু করলে, আদালত তাঁদের রুখবে কীভাবে?"  

Updated By: May 15, 2020, 05:14 PM IST
'কেউ রেললাইনের ওপরে ঘুমিয়ে পড়লে কী করা যাবে!', ঔরঙ্গাবাদের দুর্ঘটনার মামলা খারিজ শীর্ষ আদালতে

নিজস্ব প্রতিবেদন: ঔরঙ্গাবাদে মালগাড়ির ধাক্কায় ১৬ জন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।

আদালতের পর্যবেক্ষণ

 শীর্ষ আদালতের তিন বিচারপতি এল. নাগেশ্বর রাও, সঞ্জয় কওল, বিআর গভই-এর বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ  "কেউ রেললাইনে ঘুমিয়ে পড়লে কী করা যাবে?" পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে শীর্ষ আদালতের আরও মন্তব্য, "কেউ রেললাইন ধরে হাঁটতে শুরু করলে, আদালত তাঁদের রুখবে কীভাবে?"
আদালতে সলিসেটর জেনারেলের বক্তব্য
আদালতে সলিসেটর জেনারেল তুষার মেহেতা বলেন, "সরকার প্রত্যেক পরিযায়ী শ্রমিকের ঘরে ফেরার ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু মানুষ ধৈর্য্য রাখতে পারছে না। হাঁটতে শুরু করেছে, তাই দুর্ঘটনা ঘটছে। আদালত কীভাবে তাঁদের ওপর বলপ্রয়োগ করবে?"

আশঙ্কা বাড়িয়ে আচমকাই এক দিনে এক লাফে আক্রান্ত ৪ হাজার! বাংলায় করোনায় মৃত ১৪৩জন 
আবেদনকারী আইনজীবীকে বিচারপতিদের পরামর্শ
গত সপ্তাহে ঔরঙ্গাবাদে রেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৬ জন পরিযায়ী শ্রমিকের। আদালতে রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলাটির আবেদন করেন আইনজীবী আলাখ অলোক শ্রীবাস্তব। ঘটনার প্রাসঙ্গিকতা ব্যাখ্যা করে সুপ্রিম কোর্টে তিন বিচারপতির বেঞ্চ বলে, "কেউ রেললাইনে ঘুমিয়ে পড়লে কী করা যাবে? কে হেঁটে যাচ্ছে, কে যাচ্ছে না, তা দেখা কখনই আদালতের পক্ষে সম্ভব নয়।"
মামলাকারীর উদ্দেশে তাঁদের আরও বক্তব্য, "আপনার এই আবেদন পুরোপুরি সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে। কিন্তু আপনিই বলুন তো, কে কখন কোথায় হাঁটছে, সেটি আদালত কেন ঠিক করবে বা শুনবেও? এটা তো একেবারেই সেই রাজ্যেরই দায়িত্ব।" সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, পরিযায়ী শ্রমিকদের থাকা, খাওয়া, বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা রাজ্যকেই নিতে হবে।
৮ মে ঘটনার বিবরণ
উল্লেখ্য, গত ৮ ম এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার স্বাক্ষী থাকে গোটা দেশ। সেদিন ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ঔরঙ্গাবাদের অদূরে কর্মাদ এলাকায় এক মালগাড়ির ধাক্কায় ১৬ জন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
ঔরঙ্গাবাদ পুলিস সূত্রে জানা যায়, ওই শ্রমিকরা  জানলায় একটি স্টিল প্ল্যান্টে কাজ করতেন। লকডাউনে আটকে পড়েছিলেন তাঁরা। বাড়ি ফিরতেই একসঙ্গে রেললাইন ধরে ৬৫ কিলোমিটার হেঁটেছিলেন। ভোররাতে ঔরঙ্গাবাদের কর্মাদ সংলগ্ন এলাকায় লাইনের ওপরেই ঘুমিয়ে পড়েন তাঁরা । ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ একটি মালগাড়ির ধাক্কায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

.