কী ভাবে স্পেকট্রামে চিদম্বরম
২৫ মার্চ কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তরফে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো একটি নোটে বলা হয়েছিল, ২০০৮-এ স্পেকট্রাম বণ্টনে অনিয়মের জন্য তত্কালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম অনেকাংশে দায়ী।
২৫ মার্চ কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তরফে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো একটি নোটে বলা হয়েছিল, ২০০৮-এ স্পেকট্রাম বণ্টনে অনিয়মের জন্য তত্কালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম
অনেকাংশে দায়ী। চিদম্বরম আপত্তি করলে টেলিকমমন্ত্রী আন্দিমুথু রাজা `আগে এলে আগে পাওয়া` পদ্ধতিতে টুজি স্পেকট্রাম বিলি করতে পারতেন না। তাঁকে তা নিলাম করতে হত।
অর্থ মন্ত্রকের ডেপুটি ডিরেক্টর পিজেএস রাও প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ভিনি মহাজনকে এই ১৪ পাতার নোটটি পাঠিয়েছিলেন। তথ্যের অধিকার আইনের সাহায্যে বিজেপির আইনজীবী-নেতা
বিবেক গর্গ নোটটি হাসিল করার পর সুপ্রিম কোর্টে সেটি পেশ করেন স্পেকট্রাম মামলার অন্যতম অভিযোগকারী, জনতা পার্টির সভাপতি সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।
নোটের সঙ্গে থাকা কভারিং লেটারে স্পষ্ট ভাষায় জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ে পাঠানোর আগে সেটি অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়কে দেখানো হয়েছে। ফলে রাজনৈতিক মহলে প্রবল
চাঞ্চল্য তৈরি হয়। পরিস্থিতি সামলাতে ওয়াশিংটনে `ব্রিক` সম্মেলন শেষে নিউইয়র্কে মনমোহনের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন প্রণব। অন্যদিকে বিরোধী শিবিরের প্রবল তোপের মুখে পড়ে দশ
জনপথে এসে সোনিয়া গান্ধির কাছে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেন চিদম্বরম। সোমবার রাতে কংগ্রেস সভানেত্রীর বাসভবনে হাজির হয়ে পরিস্থিতি ব্যাখা করেন অর্থমন্ত্রীও। পরে কেন্দ্রীয়
আইনমন্ত্রী সলমন খুরশিদ এবং প্রধানমন্ত্রী দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামীর সঙ্গেও বৈঠক করেন প্রণব।
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দেশে ফিরে চিদাম্বরমকে কার্যত ক্লিনচিট দেন মনমোহন। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, বিরোধীদের ধৈর্যচ্যুতি হয়েছে। অকাল নির্বাচনের লক্ষ্যে তাঁর সরকারের
স্থায়িত্ব নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। তাত্পর্যপূর্ণ ভাবে মঙ্গলবার টুজি কেলেঙ্কারিতে চিদম্বরমের ভূমিকা নিয়ে তদন্তের প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টে পুরোপুরি বিপরীত অবস্থান নেয় কেন্দ্রীয় সরকার এবং
প্রধানমন্ত্রীর দফতরের নিয়ন্ত্রণাধীন সিবিআই। কেন্দ্রের তরফে অর্থ মন্ত্রকের নোট সিবিআইকে দিয়ে খতিয়ে দেখার প্রস্তাবে সায় দেওয়া হয়। কিন্তু সিবিআই জানিয়ে দেয়, স্পেকট্রাম মামলায়
চিদম্বরমের ভূমিকা সম্পর্কে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। তাই তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি দণ্ডবিধির আওতায় তদন্ত বা মামলা নিষ্প্রয়োজন।