নিজস্ব প্রতিবেদন: চিকিত্সক স্বামীর বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ পুণের এক গৃহবধূর। এতদিন পণের দাবিতে স্বামীর বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ ছিল। এবার তিনি অভিযোগ করেছেন তাঁর শরীরে এইডস-এর ভাইরাস ঢুকিয়ে দিয়েছেন তাঁর স্বামী। পরীক্ষায় ওই মহিলার দেহে এইচআইভির অস্তিত্ব মিলেছে। এখন নড়েচড়ে বসেছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-প্রয়াত ৪১তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট সিনিয়র বুশ


মহারাষ্ট্রের থেরগাঁওয়ের ওই হোমিওপ্যাথি চিকত্সক তিন বছর আগে বিয়ে করেন ২৬ বছরের ওই মহিলাকে। বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মধ্যে কোনও বনিবনা ছিল না। গত পাঁচ মাস ধরে তাঁরা আলাদাও থাকছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিস। পণের জন্য তাঁর ওপরে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন অত্যাচার করতো বলেও দাবি করেছেন তিনি।


পুলিসের কাছে ওই গৃহবধূ অভিযোগ, সম্প্রতি তাঁর রক্তে মিলেছে এইডসের ভাইরাস। তাঁর দাবি ২০১৭ সালে তিনি একবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। সে সময় তাঁকে জোর করে স্যালাইন দেন তাঁর স্বামী। সেই স্যালাইনের মাধ্যমেই তাঁর দেহ এইডসের ভাইরাস ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। তার পর থেকেই তিনি ঘন ঘন অসুস্থ হতে শুরু করেন। তখনই রক্ত পরীক্ষায় তাঁর দেহে মেলে এইচআইভি।


পুণে পুলিসের সাব ইনস্পেক্টর সঙ্গীতা গোড়ে জানিয়েছেন, ওই মহিলাকে পরীক্ষা করার জন্য ভোসারির ন্যাশনাল এইডস রিসার্চ ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছিল। সেখানেই তাঁর অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে। তাঁর চিকত্সক স্বামীকে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি।


আরও পড়ুন-কৈলাস বিজয়বর্গীর কুমন্তব্যের পাল্টা, মানহানির মামলা দায়ের অভিষেকের


এভাবে স্যালাইনের মাধ্যমে কি এইডস এর জীবাণু কারও দেহে ঢুকিয়ে দেওয়া সম্ভব? রাজ্যের বিশিষ্ট এইডস বিশেষজ্ঞ ডাঃ উন্নিকৃষ্ণণ এস সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, এইডস আক্রান্তের দেহের রক্ত কারও শরীরে ঢুকিয়ে দিলে এইচআইভি হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে ওই রক্তের মধ্যে অধিক মাত্রায় এইচআইভি থাকতে হবে। তবেই সংক্রমণ হওয়া সম্ভব। তাই খুব কম পরিমাণ রক্ত স্যালাইনে মিশিয়ে দিলে তাতে সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকটাই কম।