জোড়া বিস্ফোরণে রক্তাক্ত হায়দরাবাদের মাটি, নিহত ১৬

হায়দরাবাদ বিস্ফোরণকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। আহত হয়েছেন ১১৭ জন। এই ঘটনার তদন্ত করবে এনআইএ। তদন্তে সাহায্য করবে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিস। লোকসভায় বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডে। এর আগে শুক্রবার সকালে বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্ডে।  হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

Updated By: Feb 22, 2013, 09:06 AM IST

হায়দরাবাদ বিস্ফোরণকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। আহত হয়েছেন ১১৭ জন। এই ঘটনার তদন্ত করবে এনআইএ। তদন্তে সাহায্য করবে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিস। লোকসভায় বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডে। এর আগে শুক্রবার সকালে বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্ডে।  হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিস্ফোরণকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দিষ্ট সূত্র খুঁজে পায়নি পুলিস। তবে সূত্রের খবর ওই এলাকায় যেসব সিসি টিভি ছিল, সেগুলিকে আগে থেকেই বিকল করা রাখা হয়েছিল। ফলে ঘটনার সময়কার ছবি পেতে অসুবিধে হচ্ছে পুলিসের। সকালে বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন করে এনআইএ-র তদন্তকারী দলও।  সংগ্রহ করা হয় নমুনা। বোমা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মাঝারি ধরনের বিস্ফোরক পরিকল্পিতভাবে জনবহুল জায়গায় রাখা হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তের পর অনুমান, বিস্ফোরণে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বা আরডিএক্স ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। বিস্ফোরণের পর আজও আতঙ্ক গোটা শহর জুড়ে। বিস্ফোরণস্থলের আশপাশের দোকানপাট সকাল থেকেই বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার কয়েক মিনিটের ব্যবধানে পরপর বিস্ফোরণ হয় ভারতের সাইবার নগরীতে। সন্ধে সাতটা নাগাদ প্রথম বিস্ফোরণ। এর কয়েকমিনিট পরেই দ্বিতীয় বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে হায়দরাবাদ। বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আহত কমপক্ষে ১১৯ জন। গোটা ঘটনায় সন্দেহের তির ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের দিকে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রের খবর অনুযায়ী আফজল গুরুর ফাঁসির পাল্টা হিসাবে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আজ হায়দরাবাদে পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডে। নাশকতার নির্দিষ্ট কোনও তথ্য কেন্দ্রের কাছে ছিল না বলে আজ তিনি জানিয়েছেন। সাধারণ হামলার সতর্কতা আগে থেকেই দেশের বড় শহরগুলিতে জারি করা হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
শিন্ডে জানিয়েছেন, কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারের জন্য ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তার সঙ্গে রাজ্যসরকারের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারের জন্য ৬লক্ষ টাকা ও আহতদের জন্য ৫০ থেকে ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে।
 
গতকাল বিস্ফোরণের পরই পুলিস কমিশনারেট থেকে একে একে পুলিসকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। পৌঁছয় ফরেনসিক দল, এনআইএ। পুলিস জানায়, মাত্র দু তিন মিনিটের ব্যবধানে দুটি সাইকেলে রাখা ছিল শক্তিশালী বিস্ফোরক।
বিস্ফোরণের পরই হতাহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিসকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন সাধারণ মানুষ। কাউকে ভর্তি করা হয় ওসমানিয়া জেনারেল হাসপাতালে। বাকিদের নিয়ে যাওয়া হয় বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে। কানফাটানো আওয়াজ। মুহূর্তেই কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। সঙ্গে তীব্র পোড়া গন্ধ। প্রথম বিস্ফোরণের অভিঘাত বুঝে ওঠার আগেই ফের বিস্ফোরণ।
গোটা ঘটনার পর ওই এলাকায় গুজব ছড়াবার ভয়ে মোবাইল পরিষেবা জ্যাম করে দেওয়া হয়। হাসপাতালের ভিতরে আহতদের আর্ত চিত্‍কার। কারও চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ। বাইরে তখন প্রিয়জনদের আরোগ্য কামনায় অধীর অপেক্ষায় পরিবার।

.