নিজস্ব প্রতিবেদন: হায়দরাবাদে পশু চিকিত্সক ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্তদের কঠিন শাস্তি চান তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও।  মামলার শুনানি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ঘটনার ৩ দিন পর রবিবার এভাবেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন কেসিআর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-খরচ বাড়ছে Airtel-এও! দেখে নিন এর নতুন প্রিপেড প্ল্যানগুলি!


ওই ধর্ষণের ঘটনার পর রবিবারই প্রথম মুখ খুললেন চন্দ্রশেখর রাও। তিনি বলেন, নির্যাতিতার পরিবারকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে। গোটা ঘটনাকে ভয়ঙ্কর ও গভীর উদ্বেগের বলে মন্তব্য করেন তিনি।  কেসিআরের ছেলে কে টি রামারাও-ও ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ডের জন্য প্রয়োজনীয় আইন সংশোধনের আবেদন করেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে।



এদিকে, হায়দরাবাদ কাণ্ডে ক্রমশ চাপ বাড়ছে সরকারের ওপরে।  দোষীদের শাস্তির দাবিতে পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে জনাতা। পুলিসকে লক্ষ করে কোথাও পাথর, কোথাওবা জুতো ছোড়ে জনতা। নির্যাতিতার বাড়ির কাছে ভিড় করেন তারা। ফলে নির্যাতিতার বাড়িতে ঢুকতে পারেননি কোনও রাজনীতিবিদ, পুলিস কিংবা সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা। জনতার দাবি, কোনও সহানুভুতির প্রয়োজন নেই। দোষীদের শাস্তি চাই।


উল্লেখ্য, বুধবার রাতে পেশায় পশু চিকিত্সক ওই তরুণী নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও খুন করে ৪ জন।  শুধু তাই নয়, ঘটনাস্থল থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরের একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয় তার দেহ।   অভিযুক্ত চারজনকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিস। মহম্মদ আরিফ, নবীন, চিন্তাকুন্তা কেশাবুলু ও শিবাকে লাগাতার জেরা করে পুলিস।  জেরার মুখে তাঁরা স্বীকার করেছে, শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছিল পশু চিকিত্সককে। এর পর প্রমাণ লোপাটের জন্যই তাঁর শবদেহ পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। একটা সময় অসহায় অবস্থায় সাহায্যের জন্য চিত্কার করেছিলেন সেই পশু চিকিত্সক। কিন্তু ফাঁকা জায়গায় তাঁকে সাহায্য করার মতো কেউ ছিলেন না। আর তখনই তাঁর নাক-মুখ চেপে শ্বাসরোধ করে খুন করে দুর্বৃত্তরা।



আরও পড়ুন-খরচ বাড়িয়ে নতুন প্ল্যান সামনে আনল Vodafone-Idea! দেখে নিন একনজরে


ধৃতরা জানিয়েছে, বুধবার রাত ৯.৩৫ থেকে ১০টার মধ্যে এমন দুষ্কর্ম করেছে তারা। চিকিত্সককে নিকটবর্তী টোল প্লাজায় স্কুটি দাঁড় করাতে দেখার পরই ষড়যন্ত্র করে ফেলে ওই চারজন। এর পর তাঁর স্কুটির টায়ারের হাওয়া বের করে দেয় তারা। মূলত ট্রাক চালক আরিফ ও তাঁর হেল্পার শিবা চিকিত্সককে স্কুটি ঠিক করে দেওয়ার নাম করে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায়। তার পর চারজন মিলে নৃশংস অত্যাচার চালায় তাঁর উপর। সেই চিকিতসক সাহায্যের আশায় চিত্কার করলে চার দুর্বৃত্ত ভয় পেয়ে যায়। তখনই তাঁদের মধ্যে একজন পশু চিকিতসকের নাক-মুখ চেপে ধরে। এর পর তাঁর মৃতদেহ একটি ট্রাকে করে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায় চারজন। যাওয়ার সময় একটি পের্টল পাম্প থেকেই খানিকটা পেট্রল নেয় তারা। সেই পেট্রল ঢেলেই চিকিতসকের দেহ পুড়িয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করে তারা।