কোভিড যুদ্ধ : ১০টি রাজ্যের মোট ১২টি প্রতিষ্ঠানে হবে কোভ্যাক্সিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল
বিশাখাপত্তনম, রোহতক, নয়াদিল্লি, পাটনা, কর্ণাটকের বেলগাম, নাগপুর, গোরখপুর, তামিলনাড়ুর কাত্তানকুলাথুর, হায়দরাবাদ, আর্যনগর, কানপুর ও গোয়া এই সব জায়গায় করোনা ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ ।
নিজস্ব প্রতিবেদন : সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে যৌথভাবে করোনা মোকাবিলা করতে চলেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)এবং ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। এক বিবৃতিতে আইসিএমআর জানিয়েছে,সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৫ আগস্টের মধ্যেই আসবে করোনার প্রথম সম্ভাব্য টিকা “কোভ্যাক্সিন”। ভারতে তৈরী কোভ্যাক্সিনের ট্রায়াল জুলাইয়ে শেষ হলে আগস্টেই আসতে পারে 'কোভ্যাক্সিন'।
আইসিএমআর প্রথম কোভিড -১৯ ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল পরীক্ষার জন্য দেশের ১০টি রাজ্যের মোট ১২টি প্রতিষ্ঠানকে বেছে নিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রায় ১৩০০ মানুষের উপর এই ভ্যাক্সিন প্রয়োগ করা হবে বলে জানানো হয়েছে । ICMR সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই দেশের ১০টি রাজ্যের প্রায় ১২টি হাসপাতালে এই ভ্যাক্সিনের ক্লিনিকাল ট্রায়ালে জোর দেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে । সূত্র মারফত জানা গেছে, SARS CO V-2 জীবাণুর একটি অংশ থেকেই প্রস্তুত করা হয়েছে এই টিকা। এই টিকাকে মূল জীবাণু থেকে পৃথক করা হয় পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি-তে। এরপরই এই টিকার ট্রায়ালের পূর্ব ও পরের সব কটি পদক্ষেপ দ্রুত শেষ করে টিকাটিকে শীঘ্র মানুষের হাতের মুঠোয় এনে দিতে যৌথ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে আইসিএমআর ও ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ।
সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরী এই ভ্যাক্সিনটির বিজ্ঞানসম্মত নাম রাখা হয়েছে বিবিভি১৫২ (BBV152) । মানবদেহে এই ভ্যাক্সিন প্রয়োগের আগে প্রি-ক্লিনিকাল পরীক্ষাও করা হয়ে গেছে । এরপর দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সবুজ সংকেত মিললে মানব শরীরে এই ভ্যাক্সিন প্রয়োগের চেষ্টা করা হয়। বিজ্ঞানীরা আশাবাদী এই আবিষ্কার সাফল্য পেলে বিশ্বের দরবারে ভারতের স্থান কয়েক গুণ এগিয়ে যাবে। ভারতের বিশাখাপত্তনম, রোহতক, নয়াদিল্লি, পাটনা, কর্ণাটকের বেলগাম, নাগপুর, গোরখপুর, তামিলনাড়ুর কাত্তানকুলাথুর, হায়দরাবাদ, আর্যনগর, কানপুর ও গোয়া এই সব জায়গায় করোনা ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ ।
মোট দু দফায় চলবে এই পরীক্ষা। সব ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হওয়ার পরেই আইসিএমআরের তরফ থেকে চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে । ভারতের করোনা পরিস্থতি উত্তরোত্তর ভয়াবহ হয়ে উঠছে। ইতিমধ্যেই দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। মাস দেড়েকের মধ্যে যদি করোনার ভ্যাকসিন বাজারে চলে আসে তাহলে স্বস্তির নি়ঃশ্বাস ফেলবে দেশবাসী।
আরও পড়ুন, জওয়ানদের সংকল্প পর্বতের মতোই অটল, আগ্রাসীদের হারতেই হবে! লাদাখে কড়া বার্তা নমোর