ফেসবুক ইস্যুতে মামলা প্রত্যাহারের নির্দেশ আইজির
বাল ঠাকরের মৃত্যুতে বন্ধ নিয়ে ফেসবুক ইস্যুতে রিপোর্ট পেশ করলেন কোঙ্কনের ইন্সপেক্টর জেনারেল। রিপোর্টে তিনি বলেছেন, শাহিন ধাদা ও তাঁর বন্ধু রেণু শ্রীনিবাসকে গ্রেফতার করে পুলিস আইনবিরুদ্ধ কাজ করেছে। ওই ঘটনায় জরিত পুলিস কর্মীদের বিরুদ্ধে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতেও রিপোর্টে বলেছেন তিনি।
বাল ঠাকরের মৃত্যুতে বন্ধ নিয়ে ফেসবুক ইস্যুতে রিপোর্ট পেশ করলেন কোঙ্কনের ইন্সপেক্টর জেনারেল। রিপোর্টে তিনি বলেছেন, শাহিন ধাদা ও তাঁর বন্ধু রেণু শ্রীনিবাসকে গ্রেফতার করে পুলিস আইনবিরুদ্ধ কাজ করেছে। ওই ঘটনায় জরিত পুলিস কর্মীদের বিরুদ্ধে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতেও রিপোর্টে বলেছেন তিনি। সেইসঙ্গেই কোন নির্দেশে তারা দুই তরুণীকে গ্রেফতার করেছিল তাও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ওই দুই তরুণীর বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগও অবিলম্বে প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আইজির পেশ করা ১৫০ পাতার রিপোর্ট এবার মহারাষ্ট্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে পাঠানো হবে। তারপরই অভিযুক্ত পুলিস কর্মীদের বিরুদ্ধে যথাযাথ ব্যাবস্থা নেবে সরকার।
গত রবিবার বাল ঠাকরের অন্তিম যাত্রায় স্তব্ধ হয়ে যায় মুম্বই মহানগরী। তার পরেই থানের পালগরের বাসিন্দা ২১ বছরের শাহিন ধাধা ফেসবুকে মন্তব্য করেন, "ঠাকরের মতো ব্যক্তিরা প্রতিদিন পৃথিবীতে জন্ম নেন এবং মারা যান এবং এ নিয়ে বন্ধ পালন করা অর্থহীন।" এর পরেই শাহিনের এক আত্মীয়ের অর্থোপেডিক চিকিৎসালয়ে ভাঙচুর চালায় এক দল দুষ্কৃতী। তার ঠিক পরেই শাহিনকে গ্রেফতার হতে হয়। ফেসবুকে তাঁর এই `স্টেটাস` `লাইক` করেন তাঁর বান্ধবী। এই `অপরাধে` ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫-র এ ধারায় ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অপরাধে এবং ২০০০ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৪-র এ ধারায় তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। যদিও গ্রেফতার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ১৫ হাজার টাকা জামিনের বিনিময় মুক্তি পান দুজনেই।
গ্রেফতারের ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই সমালোচনার ঝড় ওঠে বিভন্ন মহল থেকে। প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মার্কণ্ডেয় কাটজু মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চৌহানকে গ্রেফতারের ঘটনার তীব্র নিন্দা করে চিঠি পাঠান। গ্রেফতারের ঘটনাকে অনর্থক বলে অভিযুক্ত পুলিস অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন তিনি। যদিও ঘটনার শুরু থেকেই শিব সৈনিকরা বরাবরই পুলিসের পাশে ছিল। এখন অবশ্য শিব সৈনিকদের একাংশের বক্তব্য বালাসাহেবের মৃত্যুর পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিস যা করেছিল তাকেই সমর্থন করেছিলেন তাঁরা।