রাষ্ট্রপতিকে চিঠি কারাটের, পাল্টা বিবৃতি পেশ রাজভবনের
দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রীসহ অন্য মন্ত্রীদের হেনস্থার ঘটনায় পলিটব্যুরো কে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। রাজ্যপালের মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাল সিপিআইএম। প্রতিবাদ জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়েছেন। রাজভবন থেকে ইতিমধ্যেই এই চিঠির পাল্টা বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে।
দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রীসহ অন্য মন্ত্রীদের হেনস্থার ঘটনায় পলিটব্যুরো কে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। রাজ্যপালের মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাল সিপিআইএম। প্রতিবাদ জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়েছেন। রাজভবন থেকে ইতিমধ্যেই এই চিঠির পাল্টা বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দিল্লিতে যোজনা কমিশনের কার্যালয়ের সামনে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে নিগ্রহের ঘটনার নিন্দা করে বিবৃতি দেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন।
রাজ্যপাল তাঁর বিবৃতিতে বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্য মন্ত্রীদের নিগ্রহের ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত। যাঁরা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাঁদের গণতান্ত্রিক কাঠামোয় কাজ করার অধিকার নেই। এ জন্য, সিপিআইএম পলিটব্যুরোর ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন রাজ্যপাল।
প্রতিবাদ করে সিপিআইএম। সাংবিধানিক পদে থেকে রাজ্যপাল এই ধরনের মন্তব্য করতে পারেন না বলে অভিযোগ করেছে সিপিআইএম।
বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট।
চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ''...রাজভবনে বসে শ্রী নারায়ন কীভাবে এই অবাস্তব সিদ্ধান্তে এলেন যে মুখ্যমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও অনান্যদের ওপর পূর্বপরিকল্পিত আক্রমণ করা হয়েছে? বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমে দেখিয়েছে কী ভাবে মুখ্যমন্ত্রী যোজনা কমিশন ভবনে ঢুকেছেন এবং কোনও সমস্যা ছাড়াই বেরিয়ে গেছেন। রাজ্যপালের মতো সাংবিধানিক পদে থেকে কোনও রাজনৈতিক দলকে গণতান্ত্রিক কাঠামোয় কাজ করার অধিকার হারানোর কথা বলা একেবারেই ঠিক নয়।...''
পাল্টা বিবৃতি এসেছে রাজভবন থেকেও। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ছ'দশক ধরে রাজ্যপাল কমিউনিজমের ছাত্র। মার্কস, এঙ্গেলস, মাওয়ের রচনা তাঁর পড়া। তাঁদের বক্তব্য আত্মস্থ করেছেন। আন্তর্জাতিক মঞ্চে বক্তব্য রেখেছেন। কমিউনিজম সম্পর্কে বক্তব্য রেখেছেন। তিনি সিপিআইএম সম্পর্কে সচেতন। পলিটব্যুরো, কেন্দ্রীয় কমিটি কী তা তিনি জানেন।