দেশের সবচেয়ে বড় মধুচক্র ফাঁস! নাম জড়ালো বিজেপি-কংগ্রেস নেতা মন্ত্রীদের
যৌন কেলেঙ্কারি তদন্তে তৈরি স্পেশাল তদন্তকারী দলের (সিট) প্রধান সঞ্জীব শামি জানান, কংগ্রেস-বিজেপি দুই দলের নেতারা যুক্ত রয়েছেন। যে সব ভিডিয়ো ক্লিপ উদ্ধার করা গিয়েছে, তাতেই তাঁরা স্পষ্ট ধরা পড়েছেন বলে দাবি পুলিসের
নিজস্ব প্রতিবেদন: তদন্ত যত গভীর হচ্ছে, একের পর এক নেতা-মন্ত্রীর নাম বেরিয়ে আসছে। মধ্য প্রদেশে মধুচক্র কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ১০ প্রাক্তন মন্ত্রীর নাম উঠে এসেছে। রয়েছে এক ডজন আমলাও। সূত্রে খবর, যে রাজনৈতিক নেতাদের নাম তদন্তে উঠে এসেছে অধিকাংশ গেরুয়া শিবিরের। এতে জোর অস্বস্তিতে বিজেপি।
যৌন কেলেঙ্কারি তদন্তে তৈরি স্পেশাল তদন্তকারী দলের (সিট) প্রধান সঞ্জীব শামি জানান, কংগ্রেস-বিজেপি দুই দলের নেতারা যুক্ত রয়েছেন। যে সব ভিডিয়ো ক্লিপ উদ্ধার করা গিয়েছে, তাতেই তাঁরা স্পষ্ট ধরা পড়েছেন বলে দাবি পুলিসের। বুধবার ৫ মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিস। এর মধ্যে একজন রয়েছেন কংগ্রেসের আইটি সেলের নেতার স্ত্রী। পুলিস জানাচ্ছে, ধৃত এক মহিলা এনজিও-র নামে মধুচক্র চালাতেন। বিজেপি বিধায়ক ব্রিজেন্দ্র প্রতাপ সিংয়ের বাড়িতে ভাড়া নিয়ে এই চক্র চালাতেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন- ভারতে ইজ়রায়েল দূতাবাসে হামলা চালাতে পারে আল কায়েদা, বলছে গোয়েন্দা রিপোর্ট
পুলিসের দাবি, প্রত্যেক মহিলারই নিজস্ব গ্যাং রয়েছে। যেখানে কলেজ ছাত্রীদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলা হত। রাজনৈতিক নেতা, আমলাদের কাছে তাঁদের পাঠিয়ে ভিডিয়ো ক্লিপ বানানো হয়। পরে ওই ভিডিয়ো ক্লিপ দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করা হতে কাস্টোমারদের। সম্প্রতি ভিডিয়ো দেখিয়ে এক আইএস অফিসারকে ২ কোটি টাকা দাবি করা হয়। ইনদওরে এক পুরসভার অফিসারকে ৩ কোটি টাকা ব্ল্যাকমেল করা হয়। এরপরই থানায় এফআইআর করেন ওই আধিকারিক। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ওই মহিলাদের গ্রেফতার করা হয়। মধ্য প্রদেশের এই হানিট্রাপকে দেশের সবচেয়ে বড় যৌন কেলেঙ্কারি বলে দাবি করছে পুলিস।