বারাকে নতুন আশা ভারতের
দ্বিতীয়বাবের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হলেন বারাক হুসেইন ওবামা। প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে ওবামার জয়ের ফলে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলেই মনে করছে দু`দেশ। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম, কপিল সিব্বল, জোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া আরও বেশকয়েকজন শীর্ষ কংগ্রেস নেতা এই আশা প্রকাশ করেছেন। নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আশাবাদী ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ন্যানসি পাওয়েলও।
দ্বিতীয়বাবের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হলেন বারাক হুসেইন ওবামা। প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে ওবামার জয়ের ফলে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলেই মনে করছে দু`দেশ। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম, কপিল সিব্বল, জোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া আরও বেশকয়েকজন শীর্ষ কংগ্রেস নেতা এই আশা প্রকাশ করেছেন। নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আশাবাদী ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ন্যানসি পাওয়েলও।
ঘরোয়া বাধাকে অগ্রাহ্য করেই জর্জ ডবলু বুশের আমলে ভারত-মার্কিন পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন মনমোহন সিং। বারাক ওবামার আমলে ভারতের সঙ্গে তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেনি নয়াদিল্লি। কিন্তু সন্ত্রাস প্রশ্নে বরাবর নয়াদিল্লির পাশে থেকেছে ওবামা প্রশাসন। ২৬/১১-র মুম্বই সন্ত্রাস নিয়ে পাকিস্তানের ঢিলেঢালা মনোভাবে একাধিকবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছে মনমোহন সিং সরকার। এই প্রশ্নে নয়াদিল্লির দিকেই পাল্লাভারী ছিল ওবামা প্রশাসনের। বুশের আমলের মতোই ওবামার আমলে এগিয়েছে দু`দেশের সম্পর্ক। প্রেসিডেন্টের আসনে ওবামা পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় এই ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলেই আশাপ্রকাশ করেছেন কপিল সিব্বল।
শুধু কপিল সিব্বলই নন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম, বিদ্যুত্মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আশার আলো দেখছেন। পি চিদম্বরম বলেছেন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এমনকী অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও দু`দেশের সম্পর্কের আরও উন্নতি হবে। নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্কের অগ্রগতি নিয়ে আশাবাদী ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ন্যানসি পাওয়েল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে আউটসোর্সিং ইস্যুতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিলেন বারাক ওবামা। যেসব কোম্পানি আউটসোর্সিং-এ ভর করে চলে তাদের সরকারি অনুদান ছাঁটাই করা হয়েছিল। সেই আউটসোর্সিং ইস্যুতে আরও কড়া হলে ভারতের অর্থনীতিতেও কী তার প্রভাব পড়বে। মার্কিন প্রশাসন যে পদক্ষেপই নিক না কেন, মার্কিন অর্থনীতিতে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা অমূলক বলেই মনে করছেন কপিল সিব্বল।