ভারতীয় রেলে এবার প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত!

শতাব্দী প্রাচীন দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে বা টয়ট্রেন, অথবা পাহাড়ের কোল ঘেঁসে যাওয়া কালকা-সিমলা রেল...পর্যটক আকর্ষণে যার জুরি মেলা ভার। শুধু এই রুটই নয়, মাথেরান, নীলগিরি ও কাঙ্গরা উপত্যকার বাস্পচালিত টয়ট্রেনও পর্যটক আকর্ষণে বিশ্বের অন্যতম স্থান অধিকার করে। এরমধ্যে তো আবার দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়েকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটেরও তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো। কিন্তু তারপরও, বিস্তীর্ণ এই রেলপথকে সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে ভারতীয় রেলকে। ক্ষতির মুখে পড়ে ধুঁকছে তারা। তাই এবার বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম ভারতীয় রেল নেটওয়ার্কের একটা অংশকে বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Updated By: Jan 28, 2017, 04:24 PM IST
ভারতীয় রেলে এবার প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত!

ওয়েব ডেস্ক : শতাব্দী প্রাচীন দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে বা টয়ট্রেন, অথবা পাহাড়ের কোল ঘেঁসে যাওয়া কালকা-সিমলা রেল...পর্যটক আকর্ষণে যার জুরি মেলা ভার। শুধু এই রুটই নয়, মাথেরান, নীলগিরি ও কাঙ্গরা উপত্যকার বাস্পচালিত টয়ট্রেনও পর্যটক আকর্ষণে বিশ্বের অন্যতম স্থান অধিকার করে। এরমধ্যে তো আবার দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়েকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটেরও তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো। কিন্তু তারপরও, বিস্তীর্ণ এই রেলপথকে সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে ভারতীয় রেলকে। ক্ষতির মুখে পড়ে ধুঁকছে তারা। তাই এবার বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম ভারতীয় রেল নেটওয়ার্কের একটা অংশকে বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রেল মন্ত্রকের তরফ থেকে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে। সম্প্রতি এক সংবাদপত্রে প্রকাশিত, প্রথম পর্যায়ে উত্তর ভারতের কালকা-সিমলা টয়ট্রেন, পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি-দার্জিলিং টয়ট্রেন বা দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে, নেরাল-মাথেরান রেল পরিষেবা ও কাঙ্গরা উপত্যকা রেলকে এই আওতায় নিয়ে আসার কথা ভাবা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বিদেশী সংস্থাও এই বিষয়টি নিয়ে উত্সাহ দেখিয়েছে। ভারতীয় রেলের উন্নয়নে এই বিনিয়োগ অত্যন্ত জরুরি বলে দাবি রেল মন্ত্রকের তরফে। মন্ত্রকের তরফে আরও বলা হয়েছে, চিহ্নিত রেলপথগুলিতে ১০০ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগ করা হবে।

আরও পড়ুন- দেশে পরপর রেল দুর্ঘটনার পিছনে ISI, প্রাথমিক তদন্তে দাবি NIA-এর

১ লাখ ৮০ হাজার কিলোমিটার ভারতীয় রেলপথকে পরিচালনার জন্য বর্তমানে ১৫ লাখ ৪০ হাজারের বেশী কর্মী রয়েছে। দেশের বিভিন্ন রুটে মেল ও এক্সপ্রেস মিলিয়ে দৈনিক ৭ হাজার ট্রেন চলাচল করে। পণ্যবাহী ট্রেনের হিসেব বাদ দিয়ে চলতি আর্থিক বছরে রেল আনুমানিক ৩৩ হাজার কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে, যা গত আর্থিক বর্ষের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি। আর সেই বিপুল আর্থিক ক্ষতিকে কিছুটা কমাতেই এবার ওই বিশেষ রুটগুলিতে বিদেশী বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

রেল মন্ত্রক সূত্রে খবর, যে সংস্থাগুলি বরাত পাবে তাদের দীর্ঘমেয়াদি হারে ছাড় দেওয়া হবে। এর ফলে যেমন রেলেরও লাভ হবে, তেমনই বিনিয়োগের সংখ্যাও বাড়বে।

.