ওয়েব ডেস্ক: বাংলাদেশের পর কেরল। ঘনাচ্ছে আইএস আতঙ্ক। কেরল থেকে মধ্যপ্রাচ্যে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে গিয়ে নিখোঁজ ১৫জন তরুণ-তরুণী। পরিবারের আশঙ্কা, আইএসে যোগ দিয়েছেন তাঁরা। হোয়াটঅ্যাপে মেসেজ করে তেমনটাই দাবি করেছেন নিখোঁজরাও। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কেরল সরকার। জাল ছড়াচ্ছে IS। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নিখোঁজ ১৫০ যুবক। অধিকাংশই আইএসে যোগ দিয়েছে, সন্দেহ সেদেশের তদন্তকারীদের। দিনকয়েক আগে হায়দারাবাদে ধরা পড়েছে আইএস মডিউল। এবার রেডারে দক্ষিণের আরেক রাজ্য কেরালা। কেরালার কাসারগড় ও পালাক্কড় থেকে মধ্যপ্রাচ্যে পড়াশোনা করতে গিয়ে নিখোঁজ ১৫জন তরুণ-তরুণী।
আরও পড়ুন মহাশূণ্যের ইতিহাস সৃষ্টিকারী ছবি এবার বিজ্ঞানীদের হাতের মুঠোয়!
নিখোঁজরা সকলেই উচ্চশিক্ষিত, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ এমবিএ, প্রত্যেকেরই বয়স ৩০-এর নীচে, দু বছরের শিশু সমেত এক চিকিত্সক দম্পতিও নিখোঁজ, মাসখানেক ধরে পরিবারের সঙ্গে কোনও যোগ নেই, সকলেই ধর্মীয় শিক্ষা নিতে মধ্যপ্রাচ্যে রওনা হন। একমাস ধরে পরিবারের সঙ্গে যোগ নেই নিখোঁজদের। কেরল পুলিস জানাচ্ছে, সম্প্রতি পালাক্কড়ের পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে দেখা করেন দুই তরুণের পরিবার। তাঁরা জানান, ইদের দিন তাঁদের হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ করে দুই নিখোঁজ তরুণ। মেসেজে তারা জানায়...আইএসে যোগ দিয়েছি। আমেরিকার সঙ্গে লড়াই করার জন্য, আমরা আর ফিরে আসছি না। আমরা এখন ঐশ্বরিক শাসনের অধীনে। আমাদের সঙ্গে এসো।
আরও পড়ুন সলমন এবং আমির খানকে সুশীল সমাজের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন
এরপরই সামনে আসে গোটা ঘটনা। বোঝা যায় শুধু এরা দুজন নয়। নিখোঁজ মোট পনেরোজন। পুলিসের প্রাথমিক সন্দেহ, জঙ্গি সংগঠন আইএসে যোগ দিতেই বাড়ি ছাড়েন তরুণ-তরুণীরা। গোটা বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর নজরে এনেছে দুই জেলা প্রশাসন। অবিলম্বে এবিষয়ে পুলিসকে ব্যবস্থা নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
বাংলাদেশের পর কেরল, ঘনাচ্ছে আইএস আতঙ্ক!