মাসে নয়, দিনে ১০৫ টা ট্রেন চালানো দরকার, মমতাকে তুলোধনা রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের
তিনি লিখেছেন, "গতকাল আমার বক্তব্যের পর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গভীর ঘুম ভেঙেছে।"
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফিরিয়ে আনার জন্য ১০৫টি অতিরিক্ত স্পেশাল ট্রেন চালাবে রাজ্য সরকার। টুইট করে আজ একথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার কিছুক্ষনের মধ্যেই মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এই টুইট নিয়ে চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে পাল্টা টুইট করলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তিনি লিখেছেন, "গতকাল আমার বক্তব্যের পর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গভীর ঘুম ভেঙেছে।"
লকডাউনের জেরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়েছেন বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা। তাঁদের বাড়ি ফেরানোর জন্য এপর্যন্ত মাত্র ৭ টি ট্রেনের রাজ্যে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিল নবান্ন। এখন আরও ১০৫ টি ট্রেনের কথা বলেছে। কিন্তু অন্যান্য রাজ্য অধিক সংখ্যায় ট্রেনকে অনুমতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন:ঠাকরে ম্যাজিক! বিধান পরিষদে ফাঁকা মাঠে গোল উদ্ধব-সহ ৯ প্রার্থীর
Towards our commitment to helping all our people stuck in different parts of the country and who want to return back to Bengal, I am pleased to announce that we have arranged 105 additional special trains. (1/2)
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) May 14, 2020
পীযূষ গোয়েল এ-ও বলেছেন যখন উত্তরপ্রদেশ ১৫ দিনে ৪০০ ট্রেন চালাচ্ছে তখন পশ্চিমবঙ্গে একমাসে কেন মাত্র ১০৫। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের টুইটের পাল্টা দিয়ে পীযূষ আরও লিখেছেন, যখন রাজ্যের উচিত দিনে ১০৫ টি ট্রেন চালানোর তখন রাজ্য মাসে ১০৫ টি ট্রেনের কথা বলছে। কত পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁদের শিশুরা হাজার হাজার কিলোমিটার হাঁটছে। রাজ্যের উচিত অধিক ট্রেনের ব্যাবস্থা করে তাঁদের ঘরে ফেরানো।
कल के मेरे वक्तव्य के बाद प.बंगाल सरकार अपनी गहरी नींद से जागी है। वहां की सरकार ने अभी तक प्रवासी मजदूरों के लिये सिर्फ 7 ट्रेनों की अनुमति दी है, और क्योंकि बड़ी संख्या में प.बंगाल के कामगार अपने घरों से दूर हैं, इसलिये मैने उनसे अधिक ट्रेन चलाने की स्वीकृति देने की अपील की थी।
— Piyush Goyal (@PiyushGoyal) May 14, 2020
তবে পীযূষ গোয়েলকেও পালটা দিতে ভোলেননি তৃনমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। টুইটে তিনি লিখেছেন, লক্ষ লক্ষ দরিদ্র শ্রমিকের দুর্দশার সময় মন্ত্রীর দেখা মেলেনি। নীরবে হয়তো এই প্রশ্নটাও করেছেন, তবে আজ কেন!