মানেসরের মারুতি সুজুকির শ্রমিকদের মুক্তির দাবিতে শুরু ১৭ দিনের `জন জাগরণ যাত্রা`

মানেসরের মারুতি সুজুকি কারখানার শ্রমিকদের মুক্তির দাবিতে ১৭ দিনের `জন জাগরণ যাত্রা`-র আয়োজন করলেন বন্দী শ্রমিকদের পরিবার ও সহকর্মীরা। ২০১২ সালে ১৮ জুলাই ১৫৮ জন শ্রমিককে `হিংসা` ছড়াবার অভিযোগে কারখানে গেট থেকে গ্রেফতার করে হরিয়াণা পুলিস। কিন্তু তারপরে কোনও নির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া বারবার আদালতে আবেদন করা সত্ত্বেও এখনও মুক্তি পাননি শ্রমিকরা। অভিযোগ হরিয়াণা সরকারও এই বিষয়ে নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।

Updated By: Jan 16, 2014, 02:06 PM IST

মানেসরের মারুতি সুজুকি কারখানার শ্রমিকদের মুক্তির দাবিতে ১৭ দিনের `জন জাগরণ যাত্রা`-র আয়োজন করলেন বন্দী শ্রমিকদের পরিবার ও সহকর্মীরা। ২০১২ সালে ১৮ জুলাই ১৪৮ জন শ্রমিককে `হিংসা` ছড়াবার অভিযোগে কারখানে গেট থেকে গ্রেফতার করে হরিয়াণা পুলিস। কিন্তু তারপরে কোনও নির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়া বারবার আদালতে আবেদন করা সত্ত্বেও এখনও মুক্তি পাননি শ্রমিকরা। অভিযোগ হরিয়াণা সরকারও এই বিষয়ে নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে।

চলতি মাসের ১৫ তারিখ থেকে শুরু হওয়া জন জাগরণ যাত্রা কাথিয়াল হয়ে জিন্দ, রোহতাক, ঝাজ্জার গুরগাঁও হয়ে ৩০ তারিখ দিল্লি পৌঁছাবে। ৩১ তারিখ জন্তর মন্তরের সামনে প্রতিবাদ দেখাবেন বন্দী শ্রমিকদের পরিবার ও সহকর্মীরা।

সূত্রে খবর, শ্রমিকরা এরপর গ্রামে গ্রামে মিটিং ও সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে জনসমর্থন তৈরি করাবার চেষ্টা করবেন। মারুতি সুজুকি শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে রাজপাল জানিয়েছেন ``এই যাত্রার মাধ্যমে আমরা চাইছি জনসমর্থন তৈরি করে হরিয়াণা সরকারের উপর চাপ তৈরি করতে, যাতে আমাদের ন্যায্য দাবি সরকার মেনে নেয়। বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন, কর্মচারী ইউনিয়ন, সামাজিক সংঠন, এবং আম আদমি পার্টি এই যাত্রার প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করেছে।``

২০১২ সালে ১৮ জুলাইয়ে শ্রমিক-মালিক,পুলিসের সংঘর্ষে এক আধিকারিকের মৃত্যুর পর মারুতি সুজুকি কর্তৃপক্ষ ৫৪৬ জন স্থায়ী শ্রমিক ও ১,৮০০ জন ঠিকা শ্রমিকে ছাঁটাই করে।

এই ঘটনার এতদিন বাদেও নির্দিষ্ট কোনও প্রমাণ ছাড়াই ১৪৮ জন শ্রমিককে এখনও পর্যন্ত জেলে আটকে রাখা হয়েছে। তার মধ্যে ৬৫ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা দায়ের করা হয়েছে।

.