বিচারককে ১০০ কোটি ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ শাহের বিরুদ্ধে!

সোহরাবুদ্দিন ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায় নিজেকে 'নির্দোষ' প্রমাণে মরিয়া অমিত শাহ বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতির মাধ্যমে সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারককে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ। 

Updated By: Nov 22, 2017, 05:05 PM IST
বিচারককে ১০০ কোটি ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ শাহের বিরুদ্ধে!

নিজস্ব প্রতিবেদন: বিচারকে ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার মতো মারাত্মক অভিযোগে উঠল বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের বিরুদ্ধে। সোহরাবুদ্দিন ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায় নিজেকে 'নির্দোষ' প্রমাণে মরিয়া অমিত শাহ বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতির মাধ্যমে সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারককে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ এবং বম্বে হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মোহিত শাহের বিরুদ্ধে এই অভিযোগই করেছেন বিচারক বৃজগোপাল হারকিষণ লোয়ার বোন অনুরাধা বিয়ানি। এমনকি ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে বিচারক বৃজগোপাল হারকিষণ লোয়ার আকস্মিক মৃত্যু নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর বাবা, মা।

আরও পড়ুন- মাত্র ৩৫ শতাংশ নম্বর পেয়েই স্নাতক সলমন! ভাইরাল মার্কশিট

দ্য ক্যারাভ্যান (রাজনৈতিক জার্নাল)-এ প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে বিচারক লোয়ার বোন অনুরাধা বিয়ানি দাবি করেছেন, বিচারপতি মোহিত শাহ তাঁর দাদাকে (বিচারক লোয়া) চট জলদি মামলার নিষ্পত্তি করার জন্য চাপ দেন। এমনকি রায় যেন ইতিবাচক হয় সেবিষয়টি নিশ্চিত করতেও বলেন। অনুরাধার দাবি, "দাদাকে গভীর রাতে ফোন করে সাদামাঠা পোশাকে দেখা করার কথা বলেন বিচারপতি মোহিত শাহ। দাদাকে নির্দেশমতো রায়দানের জন্য ১০০ কোটি টাকার প্রলোভনও দেওয়া হয়। প্রলোভন দিয়েছিলেন বিচারপতি শাহ নিজে।" এছাড়াও বম্বেতে একটি ফ্ল্যাট পাইয়ে দেওয়ার কথাও নাকি বলেছিলেন মোহিত শাহ, এমনই দাবি অনুরাধা বিয়ানির। 

আরও পড়ুন-  ভোট তালিকায় নাম নেই, ভোটদান না করেই ফিরলেন সাক্ষী মহারাজ

এখানেই শেষ নয়, অনুরাধার অভিযোগ, বিচারক লোয়ার মৃত্যুর পর হুমকি ফোন পায় তাঁর পরিবার। প্রাণের আশঙ্কার কথা জানিয়ে ওয়াকিফহাল মহলকে গোটা বিষয়টি জানান লোয়া পুত্র অনুজ। তবে পরিস্থিতির কোনও উন্নতিই হয়নি বলে দাবি করেছে বিচারক লোয়ার পরিবার। উল্লেখ্য, বিচারক লোয়ার মৃত্যুর পর ওই মালার দায়িত্বভার নেন বিচারক এমবি গোসাভি। ওই বছরের শেষের দিকেই (২০১৪, ৩০ ডিসেম্বর) শুনানি শেষে সোহরাবুদ্দিন ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায় অমিত শাহকে বেকসুর ঘোষণা করে আদালত। এরপর বম্বে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টেও ক্লিন চিট পান তিনি। 

.