কোদানকুলাম পরমাণু বিদ্যুত্‍ কেন্দ্রকে ক্লিন চিট কালামের

কোদানকুলাম পরমাণু বিদ্যুত্‍ কেন্দ্রকে ক্লিন চিট দিলেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী এবং প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালাম। পরমাণু বিদ্যুত্‍ কেন্দ্রটিকে সম্পূর্ণ নিরাপদ বলে বর্ণনা করেন তিনি। তামিলনাড়ুর সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এই বিদ্যুত্ কেন্দ্রটি প্রয়োজনীয় বলেও মন্তব্য তাঁর।

Updated By: Nov 7, 2011, 09:13 AM IST

কোদানকুলাম পরমাণু বিদ্যুত্‍ কেন্দ্রকে ক্লিন চিট দিলেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী এবং প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালাম। পরমাণু বিদ্যুত্‍ কেন্দ্রটিকে সম্পূর্ণ নিরাপদ বলে বর্ণনা করেন তিনি। তামিলনাড়ুর সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এই বিদ্যুত্ কেন্দ্রটি প্রয়োজনীয় বলেও মন্তব্য তাঁর। তবে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী কালামের এই ক্লিন চিটেও বরফ গলবে কি? সে প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।
কোদানকুলাম পরমাণু বিদ্যুত্ কেন্দ্রের নিরাপত্তা ঘিরে জটিল পরিস্থিতি। গত কয়েক মাসে গ্রামবাসী এবং পরিবেশবিদদের আন্দোলনের ঢেউ উঠেছে কোদানকুলামে।  গ্রামবাসীদের আন্দোলনে গত একমাস স্তব্ধ হয়ে গেছে তেরোহাজার কোটির ইন্দো-রাশিয়ো প্রকল্প। ভূমিকম্পের পরে জাপানের ফুকুশিমার বিপর্যয়ে আতঙ্কিত স্থানীয়েরা। কোদানকুলামের বিরোধিতায় সোচ্চার হয়েছেন। পরিস্থিতির বিচার করে তামিলনাড়ু সরকারই সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। কেন্দ্রীয় সরকারের নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি শীঘ্র স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করবেন। এবং পরমাণু বিদ্যুত্ কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে তাঁদের নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন। এমনই স্থির হয়ে আছে। এই পরিস্থিতিতেই কোদানকুলাম পরমাণু বিদ্যুত্ কেন্দ্রটি ঘুরে দেখলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এবং বিশিষ্ট বিজ্ঞানী এ পি জে আব্দুল কালাম। নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার কোদানকুলাম ঘুরে দেখলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। এবং দুবার সরেজমিনে পরিদর্শনের পরে পরমাণু বিদ্যুত্ কেন্দ্রটি সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ বলেই ঘোষণা করেন। এরফলে আশপাশের এলাকার কোনও ক্ষতি হবে না বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
এই পরমাণু বিদ্যুত্‍ কেন্দ্রটি তামিলনাড়ুর উন্নয়নে ভূমিকা নেবে বলেও মন্তব্য করেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। সেকারণেও এই পরমাণু বিদ্যুত্‍ কেন্দ্রটির বিরোধিতা থেকে আন্দোলনকারীদের সরে আসা উচিত বলে মনে করেন তিনি। তবে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালামের ক্লিন চিটেও বরফ গলেনি। কোদানকুমালমের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী কালামের সবুজ সঙ্কেতে আদৌ আশ্চর্য নন স্থানীয়েরা। এখনও তাঁরা প্রকল্প বন্ধ করার দাবিতেই সরব। কোদানকুলামের ভবিষ্যত্ নিয়ে ধোঁয়াশা তাই থেকেই গেল। এবং আরও কঠিন হল কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ কমিটির চ্যালেঞ্জ।

.