১০০ সিসি পর্যন্ত বাইকে দু'জন বসার উপরে নিষেধাজ্ঞার ভাবনা কর্ণাটক সরকারের
নিজস্ব প্রতিবেদন: শহরের রাস্তায় দুর্ঘটনা রুখতে ১০০ সিসি বা তার থেকে ছোট ইঞ্জিনের দু'চাকার যানে দু'জনের চড়া নিষিদ্ধ করতে চলেছে কর্ণাটক সরকার। এবিষয়ে আইনি নির্দেশিকা জারি করা নিয়ে সম্প্রতি আদালতে হলফনামা জমা দিয়েছে কর্ণাটক সরকারের পরিবহণ দফতর। তাদের দাবি, ১০০ সিসি বা তার থেকে ছোট ইঞ্জিনের স্কুটার বা মোটরসাইকেলে ২ জন চড়লে তার গতি অত্যন্ত কমে যায়। ফলে দ্রুতগামী সড়কে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন আরোহীরা।
এব্যাপারে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে হলফনামা জমা দিয়েছে কর্ণাটক সরকার। ব্যাঙ্গালোর মিরর-এর দাবি, সাতদিনের মধ্যেই নির্দেশিকা জারি করা হতে পারে। কর্ণাটকের পরিবহণমন্ত্রী এইচএম রেভানা জানিয়েছেন, মোটরযান আইন মেনে পদক্ষেপ করছে সরকার। পথ দুর্ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যু নিয়ে কর্ণাটক হাইকোর্টে মামলা চলছে। সেই মামলাতেই হলফনামায় সরকার বলেছে, ১০০ সিসি বা তার থেকে ছোট ইঞ্জিনচালিত স্কুটার ও মোটরসাইকেলে দু'জন আরোহী বসায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ''মোটরযান আইনে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ১০০ সিসি পর্যন্ত স্কুটার বা মোটরবাইকের পিছনে আসনে বসা যাবে না। তবে ইন্ডিয়ান রোড কংগ্রেসের প্রস্তাব মেনে ছাড় দেওয়া হয়।''
পুরনো দু'চাকার গাড়ির ক্ষেত্রে এই নির্দেশিকা প্রযোজ্য হবে না। ১০০ সিসি বা তার থেকে ছোট ইঞ্জিনচালিত নতুন বাইক বা স্কুটার কিনলে চড়তে পারবেন একজনই। এর মানে ১০০ সিসির মধ্যে বাইক বা স্কুটার বাজারে বিক্রি করতে গেলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে এই নিয়ম মানতে হবে। গাড়ির পিছনের সিট রাখতে পারবে না তারা। কেউ যদি নতুন বাইক কিনে পিছনের আসন লাগান, সেক্ষেত্রে শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
ভারতে বর্তমানে যে স্কুটার ও বাইক বিক্রি হয়, তার বেশিরভাগই ১০০ সিসির বেশি। ফলে অসুবিধায় পড়তে হবে না। কংগ্রেসি সরকারের এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, কর্ণাটকের রাস্তার করুণ হালের জন্য ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেদিকে নজর না দিয়ে এই সিদ্ধান্ত নজর ঘোরানোর চেষ্টা।
আরও পড়ুন- ২০১৯ সালের মোদীর প্রত্যাবর্তনের নীল নকশা তৈরি অমিত শাহের