Siddaramaiah's Swearing-in Ceremony: কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সিদ্দারামাইয়া...

Siddaramaiah's Swearing-in Ceremony: বেঙ্গালুরুর কান্তিরভা স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামেই ২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন সিদ্দারামাইয়া। এই নিয়ে তিনি দ্বিতীয়বার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি ডি কে শিবকুমার।

Updated By: May 20, 2023, 03:50 PM IST
Siddaramaiah's Swearing-in Ceremony: কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সিদ্দারামাইয়া...

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অবশেষে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন সিদ্দারামাইয়া। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি ডি কে শিবকুমার। চার দিনের অচলাবস্থা এবং জল্পনাকল্পনা শেষে বৃহস্পতিবারই কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সিদ্দারামাইয়া ও উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শিবকুমারের নাম ঘোষণা করে কংগ্রেস। কর্নাটকে বিজেপিকে হারিয়ে বিপুলভাবে জয়ী কংগ্রেস। ২২৪ সদস্যের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস পেয়েছে ১৩৫ আসন। বিজেপি পেয়েছে ৬৬ আসন।

বেঙ্গালুরুর কান্তিরভা স্টেডিয়ামে আজ, শনিবার দুপুরে তাঁরা শপথ নিলেন। একই স্টেডিয়ামে ২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন সিদ্দারামাইয়া। এখন তিনি দ্বিতীয়বার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন। বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলোর ঐক্য দেখানোর অংশ হিসেবে শপথ অনুষ্ঠানে এম কে স্টালিন, ডি রাজা, নীতীশ কুমার, মেহবুবা মুফতি, শরদ পাওয়ার, ফারুক আবদুল্লাহ ও কমল হাসান উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী-উপমুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরাও আজ শপথ নেবেন।

আরও পড়ুন: G20 Tourism Meeting: কাশ্মীরে আয়োজিত জি-২০ বৈঠকে যোগ দেবে না চিন! কেন?
 
সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়েই শেষ পর্যন্ত কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসলেন সিদ্দারামাইয়া। রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ ডিকে শিবকুমারের। সিদ্দারামাইয়ার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি তালিকাও চমকপ্রদ। ভিনরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতানেত্রীরা সকলেই হাজির। লক্ষ্যণীয়, আমন্ত্রিতদের তালিকায় বাদ বেশ কয়েকজন অ-বিজেপি হেভিওয়েট নেতা। 

কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার-সহ ১১ জন শীর্ষ বিরোধী নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই জমকালো অনুষ্ঠানে কিছু অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো থেকে বিরত থেকেছে কংগ্রেস। এর মধ্যে রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, তেলেঙ্গানার কে চন্দ্রশেখর রাও, অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াইএস জগন মোহন রেড্ডি, কেরলের পিনারাই বিজয়ন, ওড়িশার নবীন পট্টনায়েক। 

আরও পড়ুন: খোল-নলচে সম্পূর্ণ বদলে যাচ্ছে পুরী স্টেশনের! দেখে নিন সেই ছবি...

কারণ ২০২২ সালের শেষের দিক থেকে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী তথা ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) সুপ্রিমো কে চন্দ্রশেখর রাও, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ও কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য বিরোধী দলগুলিকে একত্রিত করে তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে কেসিআরের বিআরএস এক বিশাল সমাবেশের আয়োজন করে। সেখানে সিপিএমের পিনারাই বিজয়ন, আপের অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও ভগবন্ত মান, সপার অখিলেশ যাদব, জেডিএসের এইচডি কুমারস্বামী-সহ বেশ কয়েকজন নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

কংগ্রেসের কোনও নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। যদিও কেসিআরের রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু হয়েছিল কংগ্রেসের হাত ধরে। কিন্তু ২০০১-এর এপ্রিলে নিজের দল গঠনের পর থেকে তিনি এই গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি থেকে দূরেই রয়েছেন। কেসিআর-এর বিআরএস-এর মতোই অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ-ও বিজেপি-কংগ্রেস দুই দলেরই কাছেই বিকল্প হিসেবে সামনে এসেছে। দিল্লিতে যেখানে আপের সরকার, সেখানে কেজরিওয়ালের দল কংগ্রেসের সঙ্গে টক্কর দিচ্ছে। ২০১৩ সালে দিল্লিতে শীলা দীক্ষিতের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসকে পরাজিত করে কেজরিওয়ালের আপ নির্বাচনী রাজনীতিতে প্রবেশ করে।

ন'বছর পরে পঞ্জাবেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়, যখন রাজ্যে কংগ্রেসের ক্ষমতায় ফেরার চেষ্টাকে ব্যর্থ করতে আপ পাঞ্জাবে আধিপত্য় বিস্তার করে। যখন আঞ্চলিকভাবে জগন রেড্ডি, পিনারাই বিজয়ন এবং নাভিদ পট্টনায়েকের মতো নেতৃত্বের কথা আসে তখন কংগ্রেস হয় নিজ নিজ রাজ্যে তারা সরাসরি প্রতিযোগিতায় নামে অথবা তাদের বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারকে নীরবে সমর্থন করতে দেখা যায়।

২০১৯-এ অন্ধ্রপ্রদেশে তেলুগু দেশম পার্টিকে হারানো জগন মোহন রেড্ডির ওয়াইএসআরসিপি এর আগে কেন্দ্রের এনডিএ সরকারকে সমর্থন করেছে এবং মুখ্যমন্ত্রী জগন রেড্ডিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ বলেও মনে করা হয়। কেরালায় ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পিনারাই বিজয়নের নেতৃত্বাধীন বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের সঙ্গে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট। আর বিজেডি প্রধান নবীন পট্টনায়েককে নিয়ে রাজনীতি স্পষ্ট। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন, আগামী লোকসভা ও ওড়িশা বিধানসভা নির্বাচনে তিনি একাই লড়বেন এবং কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে চান না।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.